ভর্তুকির চাপ কমাতেই গ্যাসের দামে সমন্বয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৭:৫৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০৯ বার।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, গ্যাসের দাম এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে, যাতে সবাই চাপ নিতে পারে। সরকার ভর্তুকির চাপ কমাতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এতে ব্যবসায়ী ও আবাসিক গ্রাহকদের কিছুটা হলেও চাপ বাড়বে। সমকাল অনলাইন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং ইলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন টিপু মুনশি। এ সময় বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় আবাসিক গ্রাহকদের ও ব্যবসার ওপর চাপ বাড়বে; কিন্তু গ্যাসের জন্য দেওয়া ভর্তুকি বাকি ১৩ কোটি মানুষকে বহন করতে হয়। ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে এ খাত চালাচ্ছে সরকার। ফলে সরকারকে সমন্বয় করতে হচ্ছে। তার পরও এমনভাবে (দাম) বাড়ানো হয়েছে, যাতে (মানুষ) সহ্য করতে পারে। গ্যাসে যে পরিমাণ খরচ হয় তার পুরোটা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।

সমাজের বিভিন্ন অংশের আপত্তির মধ্যেই সব পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার, যা কার্যকর হয়েছে জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে। এতে আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলার জন্য মাসে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা দিতে হবে, যা এতদিন ছিল যথাক্রমে ৭৫০ ও ৮০০ টাকা।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। তারাও চায় এদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি ইপিজেড রয়েছে। চট্টগ্রামে কেইপিজেড নামের শিল্পাঞ্চলে তারা অনেক কাজ করেছে। তবে এখনও অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। কোরিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে জানানো হয়েছে। তারা নতুন কোম্পানির বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

আগামী ১৩ জুলাই দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়োন। তার সঙ্গে দেশটির একশ' ব্যবসায়ীর একটি প্রতিনিধি দলও আসবে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ১৪ জুলাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবে। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাদের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে যথেষ্ট জানে। তাদের কাছে এখানে বিনিয়োগ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাণিজ্যসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়ানোর উদ্যোগ রয়েছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়। এদেশের অবকাঠামো, নির্মাণ ও বিদ্যুৎ খাতে কোরিয়ান উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়েই এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (আপটা) সদস্য। দু'দেশের মধ্যে বর্তমানে দেড়শ' কোটি ডলারের বাণিজ্যের মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করে ২৫ কোটি ডলার এবং ১২৫ কোটি ডলার আমদানি করে।