নওগাঁর রাণীনগর খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতা না থাকায় ৪ দিন ধরে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান বন্ধ

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৯:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৫ বার।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতা না থাকায় গত চার দিন ধরে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান বন্ধ রেখেছে উপজেলা আভ্যন্তরীন ধান চাল ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি। এতে করে যে সকল কৃষক ও মিল মালিকরা সরকারি গুদামে ধান-চাল বিক্রির জন্য মনোনিত হয়েছেন তাঁরা পরেছেন বিপাকে।


উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় একটি সরকারি খাদ্য গুদাম রয়েছে । এই গুদামের ধারন ক্ষমতা মাত্র দেড় হাজার মেট্রিক টন । অথচ রাণীনগর উপজেলার জন্য সরকারি ভাবে ৪ হাজার ৫৫৫ মেট্রিকটন ধান ও চাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে ৫৩২ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ হাজার ২৩ মেট্রিক টন চাল । বরাদ্দের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮০ মেট্রিক টন ধান ও ১ হাজার ৪৫৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। গুদামে ধারন ক্ষমতা না থাকায় সংগ্রহ অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে প্রথম বরাদ্দের ধান সংগ্রহ সম্পন্ন না হতেই গত ২০ জুন রাণীনগর উপজেলার জন্য সরকার আরো ৮৮৭ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে । এতে করে ধান সংগ্রহ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ।


কৃষি অফিসের সুত্র মতে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে সময়মত সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু না হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ধান সরকারি গুদামে বিক্রি করতে পারেননি। দুই ধাপে সরকার যখন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে তখন বেশিরভাগ কৃষকের ঘর ধান শুন্য হয়ে পরে। এরপরও যে সকল কৃষক সরকারি গুদামে ধান বিক্রির জন্য মনোনিত হয়েছেন গুদাম সংকটে তাঁরা পড়েছেন বিপাকে ।


এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা চাল-কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সিতানাথ ঘোষ বলেন, 'আমরা মিলাররা যারা রয়েছি তারা সবাই বরাদ্দকৃত চাল প্রস্তুত রেখেছি কিন্তু গুদামে জায়গা না থাকার কারনে চাল দিতে পারছিনা।'


রাণীনগর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, 'রাণীনগর উপজেলায় আরো একটি নতুন খাদ্যগুদাম নির্মাণ হলে এরকম সমস্যা হতো না । বর্তমান পরিস্থীতি নিয়ে ইতি মধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। হয়তো আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধান-চাল চলাচল কর্মসূচি শুরু হলে পূণরায় ধান-চাল ক্রয় অভিযান শুরু করা হবে।'


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি আল মামুন বলেন, 'গুদামে জায়গা সংকটের কারনে আপাত:ত ধান-চাল ক্রয় বন্ধ রয়েছে । আশা করছি খুব দ্রুত এসমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া রাণীনগর উপজেলা যেহেতু কৃষি নির্ভর এলাকা সেহেতু এ উপজেলায় আরো একটি খাদ্যগুদাম নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।'