গঠিত হলো চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০১৯ ১৪:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৬ বার।

ভালো নেই চলচ্চিত্র শিল্প। এই শিল্পকে বাঁচাতে নানারকম উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার চলচ্চিত্র বিষয়ে সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ এবং চলচ্চিত্রকে উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার জন্য গঠন করা হলো জাতীয় পরামর্শক কমিটি।

২ জুলাই তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে কমিটি গঠনের খবর জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে ২৪ জন সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। খবর দেশ রুপান্তর।

যারা কমিটিতে রয়েছে তারা হলেন- তথ্যমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সচিব, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক।

বাকি ১২ জন হলেন- চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই এর এক জন প্রতিনিধি, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির একজন প্রতিনিধি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ, সারাহ বেগম কবরী, ড. ইনামুল হক, সুবর্ণা মুস্তাফা, চলচ্চিত্র সংসদের একজন প্রতিনিধি, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, মোরশেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র)/ যুগ্ম সচিব (চলচ্চিত্র), তথ্যমন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী এই কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে। আর তাদের কাজ হবে-

(ক) চলচ্চিত্র নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান।

(খ) চলচ্চিত্র নীতিমালায় বর্ণিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নে করণীয় সম্পর্কে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান।

(গ) চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান নীতি, আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করে এসব আইন, নীতি ও বিধির পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে বা নতুন অইন, নীতি, বিধির প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।

(ঘ) দেশে ও বিদেশে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যাবলি অনুসরণ ও পর্যবেক্ষণ করে সেসব কার্যক্রমে অভিজ্ঞতার আলোকে জাতীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গৃহীতব্য ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান।

(ঙ)  চলচ্চিত্র নীতিমালার কোনো বিষয়ে সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান এবং

(চ) কমিটি বছরে ন্যূনপক্ষে দুটি সভায় মিলিত হবে।