ডেঙ্গু দূরে পালাবে ৩ সহজ উপায়ে
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
এ বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১০০ মানুষের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন দাবি করেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।
তাই ডেঙ্গু হটাতে থাকতে হবে সতর্ক। নিচের তিন উপায় সেক্ষত্রে আপনার কাজে আসতে পারে-
পানি জমতে দেবেন না: ঘরের বা ঘরের আশপাশে একেবারেই পানি জমতে দেবেন না। চেষ্টা করুন এলাকায়ও যাতে পানি না জমে। জমা পানি মশার আঁতুড়ঘর। পানি জমে থাকা মানেই সেখানে মশার জন্ম।
মশার কামড়ানো কমানোর ক্রিম: মশার কামড় কমানোর ক্রিমও অনেকটাই সাহায্য করবে। যাদের বাড়িতে বা আশেপাশে মশা বেশি তারা রাতে শোওয়ার আগে বা দিনে প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিম।
এসেনসিয়াল অয়েল: নারকেল তেল বা জোজোবা অয়েলের সঙ্গে লেমন ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে মেখে নিন সারা গায়ে। ৩-৪ ঘণ্টা মশা আপনার ধারপাশে আসবে না।
তবে ক্ষতস্থানে, ব্রণ, কাটা জায়গায় এই অয়েল না লাগানোই ভালো। আর সারা গায়ে মাখার আগে চামড়ার একটি অংশে লাগিয়ে দেখুন কোনও অস্বস্তি করছে কিনা।
লেমন গ্রাস অয়েলের মতোই মশা জাড়াতে কাজে দেয় পিপারমেন্ট অয়েল। তাই প্রয়োজনে সারা বাড়িতে ছড়িয়ে দিতে পারেন এই তেল। এতে মশার হাত থেকে বাঁচবেন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
ল্যাভেন্ডার অয়েলের গন্ধে যেমন ভালো ঘুম হয় তেমনি মশাও কম আসে। এই তেল ত্বকের বন্ধু। তাই নির্ভয়ে শরীরের খোলা অংশে মাখতে পারেন। ৩-৪ ঘণ্টা মশা ঘেঁষবে না।
নিম এসেনসিয়াল অয়েলও একই ভাবে কাজ করে। চাইলে নিম গাছের পাতা বাড়ির বাইরে এককোণে পোড়ালেও একই ফল দেবে। মশার থেকে বাঁচতে সাইট্রোনেল্লা অয়েল স্প্রে করতে পারেন ঘরে, সারা শরীরে।
মশা কামড়ের দাগ মেলাতে চাইলে ব্যবহার করুন টি-ট্রি অয়েল। কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাগালে খুব তাড়াতাড়ি কামড়ের দাগ মিলিয়ে যায়। তবে এটি মশা প্রতিরোধক নয়। নিম তেলের তেতো স্বাদ মশাদের বিরক্তির কারণ। ফলে, এই তেলও মশা তাড়াতে সাহায্য করবে।
নিম তেল ছাড়াও অনেক তেল আছে যাক গন্ধে মশা পালায়। তবে সব সময়েই এই ধরনের তেল অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। মুখের কোনও অংশে এই তেলের ব্যবহার করবেন না।
বরং পায়ের ভাঁজে লাগিয়ে আগে পরীক্ষা করে তারপর মুখ বাদে সারা শরীরে মাখুন।