২০৪১ সালের মধ্যে শাসনব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ হবে: প্রধানমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৬ বার।

বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সময়ের মধ্যে দেশের শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। সরকারি ব্যয়ের সিংহভাগ বাস্তবায়িত হবে স্থানীয় পর্যায়ে। এ দায়িত্ব পালন করবে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রের সুস্পষ্ট সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হবে। জনগণের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন হবে এই অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র। খবর সমকাল অনলাইন 

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রফতানি ও প্রবাস আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আশা করা যায়, বিদ্যমান পরিবেশে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে। বাংলাদেশ শিগগিরই উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

নওগাঁ-২ আসনের শহিদুজ্জামান সরকারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে দেশের বেকারত্ব দূর করতে বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাঁচ বছর মেয়াদে ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য দুই মিলিয়ন কর্মসংস্থানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সময়ে ৯৯ লাখ মানুষ শ্রম কর্মশক্তিতে যোগ দেবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো হয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার। শ্রমিকদের বৈদেশিক কর্মসংস্থনের অংশ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে।

প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশের শ্রম বাজারে প্রবেশ করছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা আরও বলেন, এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ। বিগত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন ইপিজেডে ৩ লাখ ৫ হাজার ২৪২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৫ হাজার ৫৪৬টি পদ সৃজনের সম্মতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৬০৫টি পদের ছাড়পত্র প্রদান করেছে।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরের অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সুশাসন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নীতির ধারাবাহিকতা ও বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।