নিয়ম লঙ্ঘন করে ফ্লাইট চালানোয় পাইলটকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০১৯ ১৫:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২১ বার।

নিয়ম না মেনে একটানা ২২ ঘণ্টা ফ্লাইট চালানোয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ক্যাপ্টেন নাসের নামের এক পাইলটকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিমানের এই জ্যেষ্ঠ পাইলটকে জরিমানা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ(বেবিচক)। খবর যুগান্তর অনলাইন 

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির।

সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন নাসের বোয়িং ৭৭৭ নিয়ে ২০১৮ সালের ১০ জুন চট্টগ্রাম হয়ে জেদ্দা যান।

এদিন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে উড়াল দেয়ার পর রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামে ল্যান্ড করে বিমানটি। পরবর্তী সময়ে বৈরী আবহাওয়ায় সেখান থেকে আর জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দিতে পারেননি ওই পাইলট।

ইতিমধ্যে রাত ১২টা পেরিয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী এ সময়ে বন্ধ হয়ে যায় রানওয়ে। এ অবস্থায় অন-বোর্ড যাত্রী নিয়ে পাইলট রাতের জন্য আটকা পড়েন সেখানে।

এদিকে হোটেলে গিয়ে নির্ধারিত কক্ষে বিশ্রাম না নিয়ে বরং ফ্লাইটেই রাত পার করে দেন তিনি। এছাড়া সকালে চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দার উদ্দেশে উড়াল দেয়ার আগেই ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায় তার।

টানা ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ফ্লাইট চালানোর বিষয়টি জেনেও ফ্লাইট অপারেশনের পরিচালক ও চিফ অব ফ্লাইট সেফটির কাছে কোনো ধরনের সহযোগিতা চাননি এই বিমান চালক।

সারারাত না ঘুমিয়ে নিজের ইচ্ছাতেই যাত্রীদের ঝুঁকির মুখে ফেলে ফ্লাইটটি নিয়ে জেদ্দা রওনা দেন তিনি। টানা ১৫ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইট চালানোর নিয়ম না থাকলেও বিমানের ওই পাইলট ক্লান্ত শরীর নিয়ে ২২ ঘণ্টা টানা ফ্লাইট চালান।

অবশেষে দীর্ঘ তদন্ত শেষে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের(আইকাও) নির্দেশনা মতো ক্যাপ্টেন নাসেরকে এই জরিমানা করা হয়েছে।

কিছুদিন আগে নিয়ম না মানা বিমানের ওই চালকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই অনিয়মের কথা মাথায় রেখে তাকে আর চুক্তির আওতায় আনা হয়নি।

চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বলেন, এটি নিয়মের বড় ধরনের লঙ্ঘন। পূর্ণ বিশ্রাম ছাড়া একজন পাইলটের ফ্লাইট পরিচালনার নিয়ম নেই। কারণ ককপিট ক্রুদের ওপরই নির্ভর করে ফ্লাইটের নিরাপত্তা।

ককপিট ক্রু যদি সুস্থ থাকেন তবেই ফ্লাইটের সেফটি থাকে এবং সেটির দিকটি বিবেচনা করেই ক্যাপ্টেন নাসেরকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।