জয়পুরহাটে চলছে সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০১৯ ০৭:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৫ বার।

জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কসহ জেলার সব সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন জেলার মটর মালিক ও শ্রমিকরা। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সব সড়কে যানবাহন বন্ধ রেখে এই কর্মসূচি চলছে।

সকাল থেকে জেলার কোনো স্থান থেকে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। জেলায় কয়েকটি ট্রাক প্রবেশ করতে চাইলেও সেগুলো সড়কের উপরেই থামিয়ে রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। খবর সমকাল অনলাইন 

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানান, জয়পুরহাট থেকে বগুড়ার মোকামতলা ও দুপচাচিয়া, দিনাজপুর থেকে হিলি স্থলবন্দরসহ পার্শ্ববর্তী চারটি জেলার দূরপাল্লাসহ ভারী পরিবহন চলাচল করে এই সড়কগুলোর উপর দিয়ে। রাস্তাগুলোর পিচ-খোয়া উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় প্রায় প্রতিনিয়ত দুর্গটনায় হতাহতের ঘটনা ছাড়াও আইনি বেড়াজালে পড়ছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

তারা জানান, অকেজো রাস্তাগুলোর কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের গালিগালাজ শুনতে হয় তাদের। আবার জ্বালানি খরচও বাড়ে এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার কারণে আর্থিক ক্ষতিরও শিকার হচ্ছেন তারা। সড়ক সংস্কার ও মেরামতের দাবিতে তারা এর আগেও মানববন্ধন, মিছিল-মিটিং ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। কিন্তু তাতেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জেলার সব সড়কে একযোগে বাস ও সিএনজি চলাচল বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না তারা। মিলছে না সিএনজি ও অটোরিকশা্ও। বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা ও ভ্যানে করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।

পরিবহন সংকটের কবলে পরে দুর্ভোগে পড়েছেন পুনট বাজারের জাকারিয়া ফকির। তিনি বলেন, বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলার জামতলা গ্রামে আমার নিটকতম এক আত্মীয় মারা গেছে। সকাল ১১টায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। এ কারণে যেতেও পারছি না।

জেলার সব সড়কে একযোগে যানবাহন বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান,  এর আগে সড়কগুলো সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল-মিটিং করেও কোনো লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই সব সড়কে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, অচিরেই সড়কগুলি সংস্কারের ব্যবস্থা করা না হলে ঈদের আগেই একযোগে উত্তরাঞ্চলের সব সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।