বগুড়ার ধুনটে যমুনায় বন্যার পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপরে

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৩:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৮৮ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যুমনা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর তীর উপচে পানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের গ্রাম গুলোতে প্রবেশ করেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে যমুনা নদীর বৈশাখী, রাধানগর ও বথুয়ারভিটা চরের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। এছাড়া বাঁধের অভ্যন্তরের সহরাবাড়ী ও শিমুলবাড়ী গ্রাম সম্পূর্ণ এবং আটাচর, বানিয়াজান, কৈয়াগাড়ী, রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ী, পুকুরিয়া, ভূতবাড়ী ও মাধবডাঙ্গা গ্রামের আংশিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। 

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার আব্দুল হামিদ জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীতে ৫১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভান্ডারবাড়ী গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন বলেন, 'শুক্রবার রাত থেকে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর তীর উপচে পানি বাঁধের অভ্যন্তরের গ্রাম গুলোতে প্রবেশ করেছে। পানিতে ক্ষেতের ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। একারনে আগাম পাট কাটতে শুরু করেছি।'

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'ইতিমধ্যে ১৪০ হেক্টর জমির পাট, ২ হেক্টর জমির আখ ও ১ হেক্টর জমির মরিচ ক্ষেত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ হেক্টর জমির পাট ও ১ হেক্টর জমির মরিচ সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। কর্তৃন উপযোগী ফসল কেটে নেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কৃষক পাট কাটা শুরু করেছেন।'

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, 'বন্যার পানিতে যমুনা নদীর বৈশাখী, রাধানগর ও বথুয়ারভিটা চরের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদানের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।'

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, 'ইতিমধ্যে ৩টি চরের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া নদীর তীর উপচে বন্যার পানি দু’টি গ্রামের সম্পূর্ণ এবং ৮টি গ্রামের আংশিক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।' 

ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া সুলতানা বলেন, 'শনিবার দুপুর পর্যন্ত ধুনট উপজেলায় যমুনার চরাঞ্চলের মানুষগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া নদী তীরের গ্রাম গুলো বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।'