চাঁদপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০১৯ ১৫:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৬ বার।

চাঁদপুর সদর উপজেলায় স্ত্রী বেবী আক্তারকে (৪৫) হত্যা করার পর খোরশেদ আলম পাটওয়ারী (৬০) নামে এক স্বামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামের নিজ বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যার পর শহরের কোর্টস্টেশন সংলগ্ন পালপাড়া এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিযে ওই স্বামী আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। খবর সমকাল অনলাইন 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খোরশেদ একসময় প্রবাসে ছিলেন। পরে দেশে ফিরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাতে শুরু করেন। কিছুদিন পর তিনি স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর থেকে সংসারে অভাব-অনটন এবং পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এরই জেরে শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে নিজেদের বসতঘরে স্ত্রী বেবী আক্তারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে রোববার সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় একটি দোকানে গিয়ে চা পান করেন স্বামী খোরশেদ। পরে চাঁদপুর শহরে গিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

বেবী আক্তারের ভাই মফিজুল ইসলাম বলেন, ‌‌‌‌‌‘শহরের পালপাড়া এলাকায় ট্রেনে একটি লাশ পাওয়া যায়। তার পকেটে এনআইডি কার্ড ছিল। ওই আইডি কার্ড দেখে আমাকে খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে এসে বোন জামাই লাশ সনাক্ত করি। এরপর যোগাযোগের জন্য বোনের মোবাইলে কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের দরজায় তালা আটকানো। পরে ঘরের দরজা ভেঙে দেখি বোনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। পুলিশ ধারণা করছে, রাত সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।’

বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিল। বেবী আক্তার একবার আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে। পরে তাদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই। তবে খোরশেদ খুব জেদী মানুষ ছিল।

চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রব বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে হাতুড়ি ও স্ক্রু ডাইভার পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। বিভিন্ন সময় খোরশেদ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন।’