বিরোধী দলের নারীদের দেশে ‘ফিরে যেতে’ বললেন ট্রাম্প

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২২ বার।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ডেমোক্র্যাট দলের কয়েকজন নারী কংগ্রেস সদস্য সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক টুইটে লেখেন, “ফিরে যাও।” 

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে জানা যায়- এর আগে ট্রাম্প লেখেন, ওই নারীরা এমন দেশ থেকে এসেছেন যেখানকার সরকার সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।

কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে চারজন ভিন্ন বর্ণের কংগ্রেস সদস্যের তর্ক হওয়ার ঘটনার এক সপ্তাহ পর এমন টুইট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনটি টুইটের মাধ্যমে কংগ্রেসের তিন নারীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ‘ভয়ংকরভাবে’ সমালোচনা করার অভিযোগ তুলেছেন।

ট্রাম্প লেখেন, “খুবই অবাক লাগে দেখতে যখন ‘প্রগতিশীল’ ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসের নারী সদস্যরা, যারা এমন দেশ থেকে এসেছেন যেখানে তাদের সরকার বিপর্যস্ত, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সবচেয়ে অদক্ষ, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এসে এখানকার মানুষদের বলছে কীভাবে আমাদের সরকার পরিচালনা করতে হবে।”

আরও লেখেন, “তারা কেন নিজেদের অপরাধপ্রবণ দেশে ফিরে গিয়ে তাদের পরিস্থিতির উন্নয়ন করে না! তারপর ফিরে এসে আমাদের জানালেই পারে যে কীভাবে সে কাজ করলো তারা।”

অবশ্য টুইটে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির উল্লেখ করলেও কাদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন তা জানাননি। ধারণা করা হচ্ছে, ভিন্ন বর্ণের চারজন ডেমোক্র্যাট নারী কংগ্রেস সদস্যকে ইঙ্গিত করেছেন যাদের তিনজনই অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।

এর আগে ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে ওসারিও-কর্টেজের কিছুটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ওসারিও-কর্টেজ অভিযোগ করেন যে, সীমান্ত নিরাপত্তা বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সময় ভিন্ন বর্ণের নারী কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন স্পিকার।

ট্রাম্পের মন্তব্যের নেতিবাচক সমালোচনাই বেশি হয়েছে। এমনকি স্পিকার পেলোসি লেখেন, মন্তব্যটি জেনোফোবিক। যার মানে বিদেশিদের সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করার প্রবণতা। আরও লেখেন, “আমাদের বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি এবং একতাই আমাদের ক্ষমতা।”

এই সব মন্তব্যের কারণে নিজ দলের অনেকেরই সমালোচনা শুনতে হচ্ছে ট্রাম্পকে।