বন্যা নিয়ে সরকারিভাবে তথ্য প্রদান

বগুড়ায় ৬১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, প্লাবিত ৯৮ টি গ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৭২ বার।

বগুড়ায় বন্যার কারণে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২২২টি পুুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে করে ৭৩ দশমিক ৯৭ মেট্রিক টন মাছ পুকুর থেকে চলে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এছাড়াও ৮৬ হাজার ৩ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি ওঠায় ৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হতে হয়েছে। ১৪টি ইউনিয়নের ৯৮টি গ্রামের ৬৬ হাজার ৮০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

সোমবার বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করার সময় এ তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংকালে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম বলেন, 'পাহাড়ি ঢল ও লাগাতার বৃষ্টির কারনে বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার নদী বিধোত সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট এই তিন উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ওই এলাকাগুলো যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও বাঙ্গালী নদীর পানি বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়। এক হাজার ৯০০টি লেট্রিন ও ২ হাজার ৪৫৭টি নলকূপ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৪৫ টি ঘরবাড়ী নদীভাঙ্গনে গেছে,আরও ২৪০ ঘরবাড়ীও হুমকির মূখে রয়েছে। সেগুলোও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।'


ব্রিফিংকালে তিনি আরও বলেন, 'ত্রান অধিদপ্তর থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৪২ মেট্রিক টন চাল, এক হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরন টেবলেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিতরন অব্যাহত আছে। এছাড়াও ৫০ হাজার মেট্রিক চাল, ১০ লাখ টাকা ও ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার চাওয়া হয়েছে। বন্যা এলাকায় ৩২টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।'

ব্রিফিংকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সুফিয়া নাজিম এবং জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল।