তিন বছরেও রাস্তা পেল না সেতুটি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৫ বার।

তিন বছর আগে সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান। তবে সেতুটির দুই পাশের সংযোগ রাস্তা না থাকায় সেটি ব্যবহার করতে পারছে না জনসাধারণ। সেতুটিতে আজ পর্যন্ত চলাচল করতে পারেনি কোনো যানবাহন। যে কারণে আক্ষেপের শেষ নেই জনসাধারণের। সেতু নির্মিত হলেও রাস্তা না থাকায় অব্যবহৃতই রয়ে গেছে সেটি। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় এমপি ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। খবর সমকাল অনলাইন 

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেপ্তারবাগ গ্রাম থেকে মদনপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদ্রাসা সংলগ্ন বাজারে গ্রামবাসীর সুবিধার্থে বাজারের উত্তর পাশে খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হলেও এর দুই পাশে সংযোগ রাস্তা না থাকায় সেটি মানুষের উপকারে আসছে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার ২০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। সেতুটি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান উদ্বোধন করেন। তবে সেতুটির দুই পাশের সংযোগ রাস্তা নির্মিত না হওয়ায় এলাকার মানুষ সেটি ব্যবহার করতে পারেনি আজও।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ রাস্তা না থাকায় কেপ্তারবাগ গ্রামের কয়েকশ' শিক্ষার্থী নিকটস্থ মদনপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরপথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে। মানুষের উপকারের জন্য সেতুটি নির্মিত হলেও সেটি কোনো কাজে আসছে না।

গ্রামের কর্মজীবী মানুষও অনেকটা রাস্তা ঘুরে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ইউনিয়নের অন্য সব সেতু ও রাস্তার অবস্থা কিছুটা চলাচলের উপযোগী হলেও এ সেতুর রাস্তাই তৈরি হয়নি।

এলাকাবাসী বলেন, বর্ষা মৌসুমে সেতুর সংযোগস্থল পানিতে নিমজ্জিত থাকে এবং শুকনা মৌসুমেও রাস্তায় মাটি না থাকায় এবং রাস্তাটি ঢালু-সরু হওয়ায় আমরা চলাচল করতে পারছি না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ শেষ করে তাদের বিল নিয়ে গেছে, কিন্তু আমরা সেতুটির কোনো সুফল ভোগ করতে পারছি না। সেতুর সংযোগস্থলে রাস্তা নির্মাণে এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

মদনপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, 'জনগণের ভোগান্তির কথা আমাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি আমি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করব এবং সেতুর সংযোগ রাস্তাটি যাতে নির্মাণ করে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করা যায় সেজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'

মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম বলেন, সেতুটি একটি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে। তবে আশপাশের কোথাও মাটি না থাকায় সড়কটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সড়কটি অপর একটি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হবে। ওই প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থ ছাড় হলেই সড়কটিতে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হবে।

বন্দর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, তিন বছর আগে সেতুটি নির্মিত হয়। তখন সেটিতে চলাচলের জন্য মাটির রাস্তাও ছিল। তবে সেতুটির পাশে গভীর পুকুর থাকায় মাটির রাস্তাটি ভেঙে পুকুরে চলে গেছে। যে কারণে সেতুটি অব্যবহৃত পড়ে আছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম দায়িত্ব নিয়েছেন রাস্তাটির পাশের পুকুরের পাড়ে পাইলিং করে এরপর মাটি ভরাটের মাধ্যমে সড়কটি নির্মাণ করার। যাতে আর মাটির সড়কটি ভেঙে পাশের পুকুরে চলে যেতে না পারে। তখন ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে।