ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছও ধরছি: দুদক চেয়ারম্যান

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৯ ১৫:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৯ বার।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমরা যাদের ধরি তাদের ৬০ থেকে ৭০ ভাগই চুনোপুঁটি। তাই বলে যে আমরা বড় গাছ ধরছি না তা কিন্তু নয়। আমরা ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছও ধরছি। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্নীতি দমন আইন ও বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। খবর যুগান্তর অনলাইন 

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অস্বীকার করব না আমরা যাদের ধরি তাদের ৬০ থেকে ৭০ ভাগই চুনোপুঁটি।

এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কার কাছে? আমি নাম নাই বা বললাম। বিভিন্ন অফিস আদালতেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, এজন্যই চুনোপুঁটি ধরার সংখ্যা বেশি বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ছোট গাছ যেভাবে সহজে উপড়ে ফেলা যায় বড় বা বট গাছ সেভাবে উপড়ে ফেলা যায় না। তাই বলে যে আমরা বড় গাছ ধরছি না তা কিন্তু নয়। চুনোপুঁটিদের ব্যাপারে বক্তব্য হচ্ছে- আমরা ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছও ধরছি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে সরকারি দলের প্রায় ১০ থেকে ১৫জন এমপি, মন্ত্রী আমাদের অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন।

‘এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক দলের ১৫ জন, আরেক দলের ১২ জন, উভয় দলের ব্যবসায়ীদের ২৫ জন এবং ঊর্ধ্বতন আমলাদের মধ্যে সচিব থেকে শুরু করে যুগ্ম সচিব পর্যন্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।’

‘এমন কিছু করতে চাই না, যেখানে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে। হাত ফিরে আসার নিশ্চয়তা নিয়েই ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে।’

সরল বিশ্বাস নিয়ে তিনি বলেন, ডিসি সম্মেলন শেষে আমি যে কথা বলেছি, আপনাদের কাছে তার ভিডিও ক্লিপ আছে। আপনারা দেখবেন আমি কোথাও দুর্নীতি শব্দটি উচ্চারণ করিনি।

‘এ বিষয়ে যারা লিখেছেন, দায় তাদের; আমার নয়। তাই বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতেও আমি প্রস্তুত নই। ভুল করলে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সৎ সাহস আছে বলে জানান তিনি।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশিত হোক। সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে সকলকে নজর দিতে হবে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি কোনো ব্যক্তির নয়, রাষ্ট্রের।