ইমরান খানকে যেভাবে সম্বোধন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯ ০৭:৫৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২১ বার।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, একজন জনপ্রিয় ও কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। এক টুইটে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ হোয়াইট হাউসে এসেছেন, সত্যিই অসাধারণ।

পোস্টে ইমরান খানের সঙ্গে তোলা তিনটি ছবিও শেয়ার করেন মার্কিন ফার্স্টলেডি। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সরে আসতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকা রাখুক, তা তিনি চান না।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সোমবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইমরান খান।

হোয়াইট হাউসে করমর্দন ও হাতের বাহুতে মৃদু চাপড় দিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তারা যখন বৈঠকে ঢুকছিলেন, তখন হোয়াইট হাউসের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকদের প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান এ দুই নেতা।

ওভাল অফিসের ভেতর থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, আফগানিস্তানে পাকিস্তান এখন আমাদের সহায়তা করছে। আগের চেয়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো।

বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার টানাপোড়েনের সম্পর্কোন্নয়নে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই নেতার মধ্যে কী চুক্তি হয়, তার ওপর নির্ভর করছে ইসলামাবাদকে মার্কিন সহায়তা পুনর্বহাল করা হবে কিনা।

অতীতে পাকিস্তান সম্পর্কে অপ্রীতিকর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, আমি মনে করি না, অতীতে যুক্তরাষ্ট্রকে সমীহ করেছে পাকিস্তান। আমি মনে করি না, পাকিস্তান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সম্মান করেছে। আমি মনে করি, আফগানিস্তান প্রসঙ্গে পাকিস্তান প্রচুর কাজ করতে পারত। কিন্তু তারা সেটি করেনি।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে দোষ বিনিময়ের আরেকটি কারণ একজন ভুল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়েছে বলে। আমি মনে করি, অতীতে তারা আমাদের ব্যাপক সহায়তা করতে পারতেন।

‘কিন্তু এটি এখন কোনো ব্যাপার নয়। আমরা একজন নতুন নেতা পেয়েছি। তিনি পাকিস্তানের একজন অসাধারণ নেতা হতে চলেছেন।’

ওভাল অফিসে ট্রাম্প হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তিনি এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারেন এবং তাতে আফগানিস্তান বিশ্বের চেহারা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কিন্তু সেসব দিকে না গিয়ে আলোচনাকেই আমি পছন্দ করেছি।