কাঁচামরিচ আমদানি করে লোকসানে ব্যবসায়ীরা
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ মেট্রিক টন করে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে সৃষ্ট কাঁচামরিচের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে এ আমদানি করে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি কাঁচামরিচে ৯-১০ টাকা করে লোকসান দিতে হচ্ছে তাদের। তাই সরকারের কাছে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে প্রতিদিন এই বিপুল পরিমাণ মরিচ আমদানি করা হলেও বাজারে দাম কমার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়েনি। বন্দরের মোকামে মঙ্গলবারও আমদানি করা কাঁচামরিচ সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হয়েছে। গত চার দিন ধরে দাম একই অবস্থায় রয়েছে।
দেশের উত্তরের কয়েকটি জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা বন্যা এবং ভারি বর্ষণে প্লাবিত হওয়ায় অন্য ফসলের পাশাপাশি কাঁচামরিচের আবাদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ৫০-৬০ টাকার কাঁচামরিচের দাম বেড়ে হয় ১৪০-১৫০ টাকা কেজি। এ অবস্থায় গত শনিবার থেকে ব্যবসায়ীরা ভারতের বিহার রাজ্য থেকে আমদানি শুরু করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছাড়াও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা হিলি থেকে মরিচ নিয়ে যাচ্ছেন।
বন্দরের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বিনা জানান, দেশের বাজারে দামের স্বাভাবিকতা রাখতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। যাতে করে ক্রেতারা কম দামে কিনতে পারেন। কিন্তু এখন দেখছি আমদানি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে প্রতি কেজি আমদানি করে দেশে আনা পর্যন্ত প্রায় ৯৫ টাকা পড়ছে। এরপর সরকারকে প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ২১ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি কেজি আমদানি করতে খরচ হচ্ছে ১১৬ টাকা। এই কাঁচামরিচ বন্দর থেকে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে ১০৬-১০৭ টাকায়। এতে করে প্রতি কেজিতে লোকসান যাচ্ছে ৯ টাকা। তাই দামের ঊর্ধ্বমুখী ঠেকাতে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শুল্ক কমানো দরকার।