বরিস জনসনের পতন অক্টোবরেই!
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
গত ২৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ঠিক পরের দিনই দায়িত্বগ্রহণ করেছেন বরিস জনসন। ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি জনসনেই আস্থা রেখেছে।
কিন্তু যে জটিল অংক মেলাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করা তেরেসা মে, সেটি কী এত সহজে মেলাতে পারবেন বরিস জনসন?
৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ করার প্রতিশ্রুতি বরিস জনসনের। জনসনের মনোভাব, চুক্তিতে উপনীত হতে পারলে ভালো, না হলে চুক্তি ছাড়াই হবে ব্রেক্সিট। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, অক্টোবরেই পতন হবে জনসনের!
গার্ডিয়ান পত্রিকার কলাম লেখক রাফায়েল বের মনে করেন, বরিস জনসন ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে পারবেন না। ওই তারিখের মধ্যে যুক্তরাজ্য হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তার দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো বাতিল করতে পারবে। কিন্তু ব্রেক্সিট এত সহজেই সম্পন্ন হচ্ছে না।
রাফায়েল তার কলামে লিখেছেন, কর্ম সম্পাদনে গড়িমসি করার জন্য কুখ্যাতি আছে জনসনের। অন্তত তার কলিগদের কাছে। তারা জনসনের ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারছেন না।
শুধু তাই নয়, জনসনের আমলে ডাউনিং স্ট্রিটে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে এমনও মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বরিস জনসন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য থাকলেও সেই বিশৃঙ্খলার ফল হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি।