বিভিন্ন সময় ঢাকায় গিয়ে তারা আক্রান্ত হয়েছেন

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ২৮ ডেঙ্গু রোগী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০১৯ ১১:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৬৩ বার।

রাজধানী ঢাকায় গিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকসহ ২৮ নারী-পুরুষ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের ১৪ জনের বাড়ি বগুড়া। বাকি ১৪জন জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ এবং নওগাঁর বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার রাতে ১৬জন এবং পরদিন শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আরও ১২জন রোগী ভর্তি হন। তবে এর আগে আরও দুই জন ভর্তি হয়েছিলেন। তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, বর্তমানে যারা ভর্তি রয়েছেন তারা ডেঙ্গুর প্রথম স্তরের (স্টেজ-১) রোগী। তাই আতঙ্কের কিছু নেই। চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন। 
যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ২৪ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেনঃ বগুড়া পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডা. আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া গ্রামের বাসিন্দা লাবনী আকতার, জেলার শেরপুর উপজেলার কল্যাণ এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম, একই উপজেলা এলাকার মুক্তার (৩২), বগুড়া শহরের সুত্রাপুরের আজাদ (৩২), সদরের বেজোড়া গ্রামের মানিক (২৭), জেলার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান এলাকার আসাদুল (৩৫), একই উপজেলার রসুলপাড়ার কনক (২৭), মাড়িয়া গ্রামের সনি আলম (৩০), সারিয়াকান্দির কাটাখালি গ্রামের রতন (৩২), বগুড়া সদরের ধাওয়াপাড়ার শফিকুল ইসলাম (৩৩), নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতামাঝগ্রামের রাফি (২৩), মাড়িয়া গ্রামের সনি আলম (৩০), ধুনটের মথুরাপাড়ার শাহীন (২৬),  সারিয়াকান্দি উপজেলার কাটাখালি গ্রামের রতন (৩২), শাজাহানপুর উপজেলার শাবরুল গ্রামের পারভেজ (২০), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকার সাইদুল (৪০),  একই এলাকার শিক্ষার্থী রেদওান হোসেন (২০), একই জেলার উলিপুর গ্রামের বর্ষণ (১৯), দোগাছি এলাকার রবিউল (১৮), সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপাজেলার রশিসাপুর গ্রামের সোহেল রানা (২০), একই উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ফজলুল হক (৪২), শাহজাদপুর উপজেলার গারাদহ এলাকার শ্রাবণী রাণী (১৯) ও নওগাঁ সদরের পার নওগাঁ এলাকার জিসান (২০)।
শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী শ্রাবণী রাণী জানান, তিনি কোচিংয়ের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ ক’দিন ধরে জ্বরে ভূগছিলেন। পরে পরীক্ষার জানতে পারেন তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এরপর ২৫ জুলাই রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন রেদওয়ান হোসেন জানান, তিনি মেডিকেলে কোচিংয়ের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন। এরপর বাড়ি ফিরে তার জ্বর শুরু হয়।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন সময় বিভিন্ন কাজে ঢাকা গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আক্রান্তরা সবাই স্টেজ-১ টাইপের রোগী। সবার অবস্থা মোটামুটি ভাল। আশাকরি তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।’