বগুড়ায় কাকাতো ভাইসহ ৩ জন মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০১৯ ১৩:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৪৪ বার।

বগুড়ার শেরপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কাকাতো ভাইসহ তিনজন মিলে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে উপজেলার ধনকুন্ডি ফুড ভিলেজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার মূল আসামী ওই স্কুল ছাত্রীর কাকাতো ভাই সবুজ কুমার তালুকদার এখনো পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার বিশ্বা পূর্বপাড়া গ্রামের দীজেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে দীপক কুমার তালুকদার (১৯) ও একইগ্রামের গিরেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে পিযূষ তালুকদার (২০)।

এর আগে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা স্বপন বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ মোট তিনজনকে আসামি করে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাইয়ের ঘটনা। বাবা স্বপন মশলা বিক্রি করতে স্থানীয় ছোনকা হাটে চলে যান। মেয়েও বাড়ি থেকে স্কুলে যায়। স্কুল ছুটির পর সাড়ে ৩ টার দিকে মেয়ে বাড়িতে আসে। পরে বিকালে এক বান্ধবীর বাড়িতে যেতে নিজ বাড়ি থেকে বের হয় ওই সে। পথে ওই স্কুলছাত্রীকে সম্পর্কে কাকাতো ভাই সবুজ কুমার তালুকদার তাকে ডেকে কৌশলে দীপক কুমার তালুকদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় দীপকের বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে তিনজন মিলে সপ্তম শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য মেয়েকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় ওই তিন যুবক।  

এদিকে বিষয়টি স্কুলছাত্রী বাবা ও মাকে জানানোর পর তারা স্বজনদের পরামর্শ নেন। তাদের পরামর্শে ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা থানায় ওই তিন জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। তিনজনের মধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও পুলিশ এখনো ধর্ষক সবুজ কুমার তালুকদারকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

 শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসিতদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার সকালে ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই যুবককে একইদিন দুপুরের দিকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মামলার আরেক পলাতক আসামি সবুজকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।