দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ক সেমিনার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০৯:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৩ বার।

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মী বাড়ানোর কার্যকরী উপায় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার রাজধানী সিউলের অদূরে আনসান শহরে গোপালগঞ্জ আ্যসোসিয়েশন অফ সাউথ কোরিয়ার (জিএএসকে) আয়োজনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারে প্রধান অতিথি ও আলোচক ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। বিশেষ আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মকিমা বেগম। 

 

প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, আজকের আলোচনায় যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে তা যদি আমরা পরিহার করতে না পারি, শুধরাতে না পারি তবে ইপিএস পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত অন্য ১৫টা দেশের সঙ্গে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বো। কোরিয়ান কোম্পানি কিন্তু খালি থাকবে না, অন্য দেশের কর্মী এসে সেখানে ভরে যাবে। অতিরিক্ত প্রত্যাশা না করে, যে কোম্পানিতে প্রথম এসেছেন সেটাতে যদি পুরো সময় থাকেন তাতেই বেশি লাভবান হবেন এবং বাংলাদেশে রেমিটেন্স বেশি যাবে। 

 

বাংলাদেশি সব ইপিএস কর্মীকে তাদের মালিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সেমিনারে বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ আ্যসোসিয়েশন অফ সাউথ কোরিয়া’র সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডেভিড ইকরাম।

 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, অন্যান্য দেশের কর্মীরা যতটা দক্ষতা, দায়িত্ববোধ দেখাচ্ছেন তার চেয়ে আরও একটু দক্ষতা, দায়িত্ববোধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশি কর্মীরা বেশি সুযোগ পাবে। এতে বিভিন্ন কমিউনিটিতে সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাবে। প্রতি বছর বাংলাদেশের আরো অনেকগুলো পরিবার স্বচ্ছল হবে তথা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

 

সেমিনারে কোরিয়ায় বসবাসরত বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের স্পন্সর করেছে কোরিয়ান মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি জি-মানি ট্রান্স। ‍খবর সমকাল।