১০ তলার কার্নিশে ঝুলছিল গৃহকর্মী...

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৯ ১৩:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৭ বার।

রাজধানীর কাকরাইলের কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির পাশে ১৫ তলা একটি ভবনের দশম তলার বারান্দার কার্নিশে ঝুলে ছিল এক কিশোরী।

বারান্দার ভেতর থেকে এক নারী তার দিকে তাকিয়ে কিছু বলছিলেন। কি কথা হচ্ছে তাদের মধ্যে, কেনই বা মেয়েটি ঝূঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে আছে, নিচ থেকে তা ঠিক বোঝাও যাচ্ছিল না। তবুও মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সেখানে উৎসুক মানুষের জটলা বাধে। খবর পেয়ে আসে পুলিশও। ততক্ষণে বারান্দারা গ্রিলের জানালা খুলে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন ওই নারী।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর নাম খাদিজা (১৪)। সে দশ তলায় বি-১০ ফ্ল্যাটে হাবিবুর রহমান ও লাভলী রহমানের গৃহকর্মী। অন্য এক গৃহকর্মীর সঙ্গে ঝগড়া করে সে বারান্দার গ্রিলের ফোকর দিয়ে পালাতে চেয়েছিল। তবে গৃহকর্ত্রী লাভলী রহমান তাকে উদ্ধার করেন।

লাভলী রহমান পুলিশকে জানিয়েছেন, খাদিজা ও হেলেনা নামে তার দুই গৃহকর্মী রয়েছে। দুজনের মধ্যে ঝগড়ার পর খাদিজা পালাতে চেয়েছিল। তাকে উদ্ধারের পর তিনি স্বজনদের খবর দিয়েছেন। তাদের হাতে খাদিজাকে তুলে দেওয়া হবে। সে এক বছর ধরে তার বাসায় ছিল। তার বাড়ি সিলেটে।

তবে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের একজন সদস্য জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর গৃহকর্ত্রী মেয়েটিকে পুলিশের সামনেই গালাগাল করছিলেন। পুলিশ তাকে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসিয়ে ঘটনা জানার চেষ্টা করলেও গৃহকর্ত্রী তাকে সোফা থেকে তুলে দেন। তিনি নিজেকে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দেন। 

রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, তিনি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছেন। গৃহকর্তা বা গৃহকর্ত্রী তাকে মারধর করেছে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন। কিন্তু মেয়েটি অস্বীকার করেছে। কারো সঙ্গে সম্পর্কের জেরে মেয়েটি বাসা থেকে পালাতে চেয়েছিল বলে তার কথাবার্তায় মনে হয়েছে। তবে পুলিশ সবকিছুই তদন্ত করে দেখছে।