মা-বাবাসহ ৪ জনকে হত্যা, কানাডায় বাংলাদেশি তরুণ গ্রেফতার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৯ ১৫:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬০ বার।

কানাডার টরন্টোতে মা-বাবা, ছোট বোনসহ পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সময় রোববার টরন্টোর মারখাম উপশহরের ক্যাসেলমোর এভিনিউর বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

গ্রেফতার মিনহাজ জামান (২৩) এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে একটি অ্যাডভেঞ্চার ফ্যান্টাসি গেমে সেই খবর ও নিহতদের ছবি পোস্ট করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এলে তিনি নিজেই ধরা দেন ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। খবর সমকাল অনলাইন।

নিহতরা হলেন-মিনহাজের বাবা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মা মমতাজ মুক্তা জামান, ছোট বোন ম্যালিসা ও নানি (নাম জানা যায়নি)। নিহত মনিরুজ্জামান পরিবার নিয়ে কয়েক দশক আগে টাঙ্গাইল থেকে কানাডায় পাড়ি জমান।

স্থানীয় ইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র অ্যান্ডি প্যাটেনডেন জানিয়েছেন, মিনহাজকে সোমবার টরন্টোর নিউমার্কেট আদালতে হাজির করার পর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিনহাজকে আবার আদালতে উপস্থিত করা হবে। তবে কীভাবে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ।

প্যাটেনডেন আরও জানান, রোববার বিকেল ৩টায় ৯১১ নম্বর থেকে তাদের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, ক্যাসেলমোর এভিনিউর ওই বাড়িতে কিছু মানুষ আহত হয়ে পড়ে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে চারটি মৃতদেহ পায়। এ সময় মিনহাজ নিজেই এসে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বল্পভাষী, শান্তশিষ্ট মিনহাজ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হওয়ার পর থেকে হতাশায় ভুগছিলেন। কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না। শুধু কাছের একটি মল এবং ব্যায়ামাগারে সময় কাটাতেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের খবর জানিয়ে মিনহাজ নিজেই অনলাইন গেমারদের নেটওয়ার্কিং সাইটে নিহতদের ছবি পোস্ট করেন। তাতে তিনি লিখেছেন, 'প্রথমে আম্মু, তারপর নানি, তারপর বোন ও সবশেষে আব্বুকে হত্যা করি।' সবশেষে তিনি লেখেন, 'পুলিশ এসে গেছে, গুডবাই।'

ধারণা করা হচ্ছে, অপর প্রান্তে তার সঙ্গে খেলতে থাকা কোনো বন্ধু পুলিশকে খবরটি জানায়। ইয়র্ক রিজিওনাল পুলিশের কর্মকর্তা লোরা নিকোল বলেন, হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে বলে মনে হচ্ছে না। মিনহাজই এমন নৃশংসতা চালিয়েছে। তাই এলাকাবাসীর ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই।