অধিনায়ক হিসেবে কেমন করলেন তামিম

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০১৯ ১১:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৮ বার।

'একজন অধিনায়ক ততটাই ভালো, যতটা ভালো তার দল।' একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তামিম দায় চাপালেন দলের ওপর। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু দল ভালো করলে তা চোখে বাধত না বলে মত তামিমের। শ্রীলংকা সফরে দল খারাপ খেলেছে সত্যি। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে কিছু দায় তামিমেরও নেওয়া উচিত। সবকিছু দল নির্ভর হলে অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি, এমএস ধোনি, ইমরান খান কিংবা রিকি পন্টিং, কেন উইলিয়ামসনদের নাম আলাদাভাবে উচ্চারিত হতো না। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিও এতো সমাদর পেতেন না।

নেতৃত্ব গুনও নিশ্চয় বড় গুন। দলের থেকে সেরাটা বের করে আনা। দলকে চাঙ্গা করা। ম্যাচের গতি বোঝা। আক্রমণাত্মক-রক্ষনাত্মক নেতৃত্ব বলেও একটা কথা আছে। এসব মানদণ্ডে বিচার করলে নেতৃত্বের অভিষেক হওয়া তামিম শ্রীলংকা সফরে কত নম্বর পাবেন। ম্যাচের একাদশ সাজানো, বোলিং-ফিল্ডিং পরিবর্তন মিলিয়ে একটা বিচার করা যেতেই পারে।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ চার নিয়মিত বোলার নিয়ে মাঠে নামে। বাকি দশ ওভারের দায়িত্ব ছিল সৌম্য সরকার এবং মোসাদ্দেকের ওপর। ওই ম্যাচে শুরুতে বল করা বাংলাদেশ ৩১৪ রান দিয়ে ফেলে। শুরুর ১০ ওভারে চারজনের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক তামিম। শফিউল ইসলাম এবং মিরাজ আক্রমণ শুরু করেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট এনে দেন শফিউল। পরে আর এক ওভার বল করিয়েই তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আবার আক্রমণে আনা হয় ১২তম ওভারে। খবর 

এর মধ্যে তিনি রুবেল হোসেনকে বোলিং আনেন অধিনায়ক। এমনকি পার্ট টাইম স্পিনার মোসাদ্দেকও শুরুর এগারো ওভারে দুই ওভার বল করানো হয় তাকে দিয়ে। তামিমের এই চিন্তার ব্যাখ্যা আছে। উইকেটে ছিলেন দুই বাঁ-হাতি দিমুথ করুনারত্নে এবং কুশল পেরেরা। কিন্তু বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান থাকলেই মোসাদ্দেক নতুন বলে উইকেট এনে দেবেন। আর শফিউল পারবেন না এই চিন্তা অমূলক। এরপর ২৪ থেকে ৩৩ ওভার পর্যন্ত টানা দশ ওভার মোসাদ্দেক, সৌম্য এবং মাহমুদুল্লাহকে দিয়ে বল করিয়েছেন তামিম। ক্রিজে থাকা সেট ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরার সেঞ্চুরির পথ পরিষ্কার হয়েছে ওই স্পেলে।

বাংলাদেশ দলের নিয়মিত চার বোলারের তিনজন প্রথম ম্যাচে ৯ ওভার করে বোলিং করেন। রুবেল, মিরাজ এবং শফিউল ১০ ওভার করে বল করার সুযোগ পাননি। অথচ স্লগ ওভারে বল করেও মোসাদ্দেকের চেয়ে রুবেল-মিরাজের ইকোনমি ছিল ভালো। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলংকার সামনে অল্প রানে আটকে যাওয়া বাংলাদেশ বোলিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।

তবে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আবার প্রথমে বোলিং পায় বাংলাদেশ। বোলার পরির্বতন করা নিয়ে এ ম্যাচেও অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে তামিমকে। প্রথম ১১ ওভারে পাঁচ বোলার ব্যবহার করেন তিনি। শুরুর ১৬ ওভারে হাত ঘুরিয়েছেন ছয় বোলার। এ ম্যাচেও বাংলাদেশ এক বোলার কম নিয়ে মাঠে নামে। একশ'র আগে তিন উইকেট তুলে নিয়েও চাপ তৈরি করতে পারেনি পার্ট টাইম বোলারে নির্ভর করার দরুণ।

শেষ ম্যাচে শফিউলের সঙ্গে বোলিং আক্রমণে আসেন রুবেল। কিন্তু প্রথম ওভারে সাত রান দেওয়ায় তৃতীয় ওভারে তাইজুলকে আক্রমণে আনা হয়। তাইজুল প্রথম ওভারে ২ রান দিলেও পুরনো বলের চিন্তায় হয়তো তাকে বাদ দিয়ে আক্রমণে আনা হয় মেহেদি মিরাজকে। ১১তম ওভারে বল করতে আসেন সৌম্য। আর ১৬তম ওভারে মাহমুদুল্লাহ। নিয়মিত বোলার রুবেল-মিরাজ এ ম্যাচেও ৯ ওভার করে বল করেন। সৌম্যকে করতে হয় ৯ ওভার বোলিং। মাহমুদুল্লাহ ৩ ওভার বল করে ছিলেন খরুচে। আলগা বোলিং আক্রমণের কারণে ২৬০-২৭০ রানের উইকেটে শ্রীলংকা তোলে ২৯৪ রান। আর বাংলাদেশের পরিণতি ধবলধোলাই হয়ে দেশে ফেরা।