বগুড়াকে সমৃদ্ধ জেলা বললেন নবাগত জেলা প্রশাসক

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮২৪ বার।

বগুড়াকে সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নবাগত জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদকিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘এ জেলার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। ভৌগলিক কারণেও বগুড়া গুরুত্বর্পূণ। এ জেলার উন্নয়নে আমি আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম এবং বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য শঙ্করসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় মতবিনিময় সভা শুরু করার কথা থাকলেও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা খানিকটা বিলম্বিত হয়। একই কারণে সাংবাদিকদের উপস্থিতিও ছিল কম।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বগুড়াসহ ১০টি জেলার জেলা প্রশাসককে বদলী করা হয়। ওইদিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বগুড়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব পদে বদলী করা হয়। একই সঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর একান্ত সচিব ফয়েজ আহাম্মদকে বগুড়ায় জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তিনি গত ৯ অক্টোবর তাঁর দপ্তরে যোগদান করেন।
মতবিমিনয় সভায়  উপস্থিত সাংবাদকিরা বগুড়ার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ৮টি বড় ধরনের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসককে উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করেন। এছাড়া শহরের সড়ক এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান প্রনয়ন এবং কর্মজীবী নারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার তাগিদ দেন।
নবাগত জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, গেল দশ বছরে সারাদেশে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যেটি বিশ্বে বাংলাদেশকে আলাদা একটি পরিচিতি দিয়েছে। বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো এখন বাংলাদেশকে এক নামে চেনে। তিনি সাংবাদকিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বগুড়ার উন্নয়ন এবং এ জেলার মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে আপনারা যেসব প্রস্তাব এবং পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখবো।’
মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফ, সিনিয়র সাংবাদিক হাসিবুর রহমান বিলু, মোহন আখন্দ, নাসিমা সুলতানা ছুটু, আব্দুস সালাম বাবু, ফরহাদুজ্জামান শাহী ও রাকিব জুয়েল।