ভারতে শিশুকে চুরি করে দলবদ্ধ ধর্ষণ, তারপর গলা কেটে হত্যা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০১৯ ১৫:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৫ বার।

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে তিন বছরের এক মেয়েশিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর শরীর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

বিবিস বাংলা জানায়, জামশেদপুরের রেলস্টেশনে ওই শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে যখন ঘুমাচ্ছিল, তখনই তাকে অপহরণ করা হয়।

এতে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যারা এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগে জেল খেটেছে বলে জানা গেছে।

গ্রেফতার একজনের মা ঝাড়খণ্ড পুলিশের কর্মী, অন্যজনের বাবা কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশের।

ঝাড়খণ্ডের পুলিশ বলছে, ২৫ জুলাই রাতে জামশেদপুর বা টাটানগর রেলস্টেশনে মায়ের সঙ্গে শিশুটি ঘুমিয়ে থাকার সময়ই দুই ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে।

ওই শিশুটির মা পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বাড়ি ছেড়ে উড়িষ্যার দিকে যাচ্ছিলেন এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে। পথে টাটানগর স্টেশনে থেমেছিলেন তারা।

মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের কাছে নিজের পুরুষ সঙ্গীর নামেই শিশু অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তখন মায়ের পুরুষ-সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে জেলেও পাঠায় পুলিশ।

কিন্তু ক্লোজড সার্কিট টিভির ফুটেজ দেখে শিশুটির অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জামশেদপুরের রেল-পুলিশের এস পি এহতেশাম ওয়াকারীব বিবিসিকে বলেন, প্রথমে ওই শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তার পুরুষ-সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হলেও সিসিটিভির ফুটেজ থেকে অপহরণকারীদের ছবি নিয়ে সেটা গোয়েন্দাদের মধ্যে আর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সূত্রেই খবর আসে যে রিঙ্কু সাহু নামের এক যুবক এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

তিনি জানান, ছাদ দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ প্রথমে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে পায় নি। অন্যান্য জেলাতে তল্লাশি টিম পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এহতেশাম ওয়াকারীব বলেন, অপরাধের কথা সে স্বীকার করেছে। সে দেখিয়ে দেয় যে কোথায় ওই শিশুটির দেহ পুঁতে রেখেছিল। অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তি কৈলাশ কুমারের নামও সে-ই জানায়। দুজনেই এখন পুলিশ হেফাজতে।