হাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০১৯ ১৬:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৬ বার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করা, ইন্টারন্যাশনাল হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও রোভার স্কাউটের এক নারী সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৩ বিদেশিসহ ৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করেছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা যায়। গত ২৯ জুলাই এ চিঠি ইস্যু করা হয়। সেখানে জানানো হয়, আবাসন ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ এবং ৪৭তম রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাদেরকে এ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ বিদেশি শিক্ষার্থী হলেন- ধীরাজ কুমার রায়, জয় যাদব ও কুলদ্বীপ শর্মা। ৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হলেন- মো. আশরাফুল আলম (এমবিএ ৩য় সেমিস্টার), নাফিউল হাদি বাঁধন (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, লেভেল ৩ সেমিস্টার ২), বিন ইয়ামিন সুফি (বিবিএ লেভেল ২ সেমিস্টার ২), জান্নাত-ই-নাঈম (বিএসএস, লেভেল ৩ সেমিস্টার ২, মাহামুদুল হাসান সজীব (বিবিএ লেভেল ২ সেমিস্টার ২) ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আহকামুল আকমাম (বাঁধন)। 

৩ বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ধীরাজ কুমার রায় ও জয় যাদবকে ইন্টারন্যাশনাল হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৪ সেমিস্টারের (২ বছর) জন্য এবং অপর বিদেশী শিক্ষার্থী কুলদ্বীপ শর্মাকে এক সেমিস্টারের জন্য একাডেমিক কার্যকলাপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে হাবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর ও ইসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম, নাফিউল হাদি বাঁধন, বিন ইয়ামিন সুফি, জান্নাত-ই-নাঈম, মাহামুদুল হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং আহকামুল আকমামকে হাবিপ্রবিতে রোভার স্কাউটের এক অনুষ্ঠানে এক নারী রোভার সদস্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে এক সেমিস্টারের জন্য একাডেমিক কার্যকলাপ এবং ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আবাসিক হল থেকে বহিস্কার করা হয়।

হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ডা. ফজলুল হক জানান, আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছানোর পর থেকে তারা বহিরাগত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং খুব শিগগির এ অফিস আদেশ বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।