শিশুদের জন্য ক্ষতিকর-অশ্লীল ওয়েবসাইট কেন বন্ধ নয়: হাইকোর্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০১৯ ১৬:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৩ বার।

শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর, অশ্লীল, আপত্তিকর ওয়েবসাইট ও হরর গেম বন্ধে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানির পর বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা ও আপত্তিকর সাইটগুলো অপসারণ, মনিটরিং ও পর্যবেক্ষণের জন্য কেন একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও মোবাইল অপারেটরগুলোসহ ১৫ জন বিবাদিকে এ সব রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. কামরুল হাসান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আসমা পারভিন ও সাজেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে শিশু ও নারীদের প্রতি নিষ্ঠুর, নিপীড়ন ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশে আশঙ্কাজনকভাবে শিশু-কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

মূলত প্রযুক্তিগত আসক্তির ফলে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের চেম্বারে আশঙ্কাজনকভাবে শিশু-কিশোরদের গেম আসক্তি নিয়ে অভিভাবকরা ভিড় করছেন।

এই আইনজীবী বলেন, ইন্টারনেট প্রযুক্তির অশ্লীল-আপত্তিকর ও ক্ষতিকর দিকগুলোর প্রতি শিশুদের সংশ্লিষ্টতার কারণে সমাজব্যবস্থা ও নৈতিকতার চরম অবক্ষয় হচ্ছে।

তিনি বলেন, হরর ও আপত্তিকর গেম খেলতে গিয়ে শিশুরা পর্নোগ্রাফি সাইটে ঢুকে যাচ্ছে। এতে শিশুদের অবক্ষয় হচ্ছে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে। তাই এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।

এর আগে গত ২৮ জুলাই জনস্বার্থে রিটটি দায়েরের সময় ইন্টারনেট আসক্তি নিয়ে বিভিন্ন দেশের গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনও হাইকোর্টে দাখিল করেন রিটকারী আইনজীবী মো. কামরুল হাসান।