স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই মেয়রের পদত্যাগ চাইলেন মান্না

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৫ বার।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিরাজিত নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজেন করে নাগরিক ঐক্য। খবর যুগান্তর অনলাইন 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা মান্না বলেন, দেশে ডেঙ্গুর বাহক এডিসের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে। এ কারণে দেশ আজ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে আছে। দেশের প্রায় সব জেলা এখন ডেঙ্গু কবলিত। অথচও এমন পরিস্থিতিতেও মন্ত্রী-মেয়ররা আজ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় বসে আছেন।

মশা মারার কার্যকর ওষুধ কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘এ রকম একটি ব্যাপারে যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের প্রয়োজন হয়, তা হলে ঢাকার দুই সিটি মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন চরমে, তখন ঢাকার দুই মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কী করছেন তা সবাই দেখছে। তারাসহ দায়িত্বশীলরা মশা মারার ওষুধ আনতে না পারলেও কিন্তু মশা মারার নাটক ঠিকই করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকা সিটির দুই মেয়র এখনও পর্যন্ত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আমদানি করতে পারেননি। তারা মশা মারার নাটক ঠিকই করছেন।

মান্না বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ঢাকার দুই সিটির দুই মেয়র কী বাগাড়ম্বর করছেন। অনর্থক বিরোধী দলের রাজনীতিকে দোষারোপ করছেন। তবে এ কথাও সত্য যে, বিরোধী দলের রাজনীতি আজ অনৈক্যের কানা গলিতে আর আপসকামিতার চোরাবালিতে আটকে গেছে।’

নাগরিক ঐক্যের এই নেতা বলেন, ‘ ডেঙ্গুর সিজন এখনও তিন মাস বাকি। আগামী সেপ্টেম্বরে এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠার কথা। আমাদের দেশে যখন ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার, তখন পশ্চিমবঙ্গে প্রকোপ কমে গিয়ে সামান্য পর্যায়ে আছে। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ সরকার থাকলে, সেটির ফল কী হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ তা দেখিয়েছে। আর মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে, তার ফল কী হয়, সেটির প্রমাণ বাংলাদেশ।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা এসএম একরাম, সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ কাউসার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মমিনুল ইসলাম, ডা. জাহেদুর রহমান প্রমুখ।