স্বপ্নে দেখা স্থানে গিয়ে পিতলের কলসিতে মিলল রৌপ্য মুদ্রা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অগাস্ট ২০১৯ ০৬:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬০ বার।

রূপকথার গল্পে এমন অনেক শুনেছেন। কিন্তু এবার বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমুণ্ডি এলাকায়। স্বপ্নে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পিতলের কলসিভর্তি রৌপ্য মুদ্রা উদ্ধার করেছে এক কিশোর।

রবিবার সকালে কুশমুণ্ডি থানার আকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের পরমেশ্বর গ্রামে বিশাল কিশোর বৈদ্য নামের ওই কিশোর ঢিবি খুঁড়ে এসব মুদ্রা উদ্ধার করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানায়, সব মিলিয়ে মোট ৪৬টি রৌপ্য মুদ্রা মিলেছে। বাকি আরও কিছু মুদ্রা স্থানীয় লোকজন লুট করে পালিয়েছে বলে অভিযোগ।

মুদ্রাগুলোতে পালি ভাষায় লেখা বলেই সেগুলো পাল আমলের বলে প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা।

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনন্দগোপাল ঘোষ বলেন, “উদ্ধার হওয়া মুদ্রার নমুনা নিজের চোখে না দেখলেও অনুমান করতে পারি যে, এগুলো পাল আমলের। মুদ্রার লেখাগুলোও পালি ভাষারই হবে।”

তিনি বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখন পর্যন্ত যে সমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, তার সবই পাল আমলের। পাল আমলে দক্ষিণ দিনাজপুর বৌদ্ধদের একটি বড় কেন্দ্র ছিল।”

আগেও ওই এলাকায় এমন মুদ্রা মিলেছে বলে দাবি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়ামের সাবেক এই কর্মকর্তার।

কিশোর বিশাল বৈদ্যের দাবি, কয়েক দিন ধরেই সে স্বপ্নাদেশ পাচ্ছিল যে, জলার ধারে একটি পিতলের কলসিতে মুদ্রা রাখা আছে। স্বপ্নে তাকে কেউ সেগুলো উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল।

ঘটনার দিন সকালে তার দুলাভাই রামধন সরকারের সঙ্গে গ্রামের জলায় পাট জাগ দিতে গিয়েছিল। জলার ধারে ঢিবি দেখে তার স্বপ্নাদেশের কথা মনে পড়ে। তখনই শুরু হয় খোঁজা।

এক সময় মাটির তলা থেকে বের হয় একটি পিতলের কলসি। তার ভেতরে কী আছে তা স্পষ্ট করে বোঝা সম্ভব না হওয়ায় সেটি আছড়ে ভেঙে ফেলে সে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে রৌপ্য মুদ্রাগুলো। শুরু হয় লুটপাট। মাত্র ৪৬টি মুদ্রা উদ্ধার সম্ভব হয়।