ভাগ করার পর কেমন হবে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের মানচিত্র?

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অগাস্ট ২০১৯ ১১:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৯ বার।

বিরোধী দলের প্রবল আপত্তির মুখে অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে ভারতের বিজেপি সরকার। সোমবার রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত নতুন বিল প্রস্তাব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বিবিসি বাংলা জানায়, কাশ্মীর পুনর্গঠন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ স্বাক্ষর করেছেন।

বেলা ১১টার কিছু পরে রাজ্যসভা অধিবেশনে অমিত শাহ কাশ্মীর নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান। জম্মু-কাশ্মীরকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন তিনি।

কাশ্মীর পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে।

বিজেপির সরকারের এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখন থেকে জম্মু এবং কাশ্মীর ‘ইউনিয়ন টেরিটরি’ বা কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হবে। আর লাদাখ কেন্দ্রশাসিত তৃতীয় একটি এলাকা হিসেবে বিবেচিত হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে আইনসভা থাকলেও লাদাখে সেটি থাকবে না।

বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের জনগণের জন্য সংরক্ষিত অধিকারগুলো আর থাকছে না।

অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়।

মূলত সেখানকার জনসংখ্যার আনুপাতিক স্থিতি বজায় রাখতে বহিরাগত বসতি স্থাপন বন্ধে এসব সুরক্ষা দেওয়া হয়।

কেবল স্থায়ী বাসিন্দারাই ওই রাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা, সরকারি চাকরি বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পান।

রাজ্যের বাসিন্দা কোনো নারী রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তার উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির ওপরে অধিকার থাকে না।

বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর এই অধিকার হারাবে কাশ্মীরের জনগণ। মূলত হিন্দু জনগণকে অঞ্চলটিতে বসবাসের সুযোগ করে দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কাশ্মীর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষকদের অভিমত।