ঈদ বোনাস না পেয়ে ক্যাশিয়ারকে পেটালেন স্বাস্থ্য সহকারীরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৯ বার।

ঈদপূর্ব বোনাস না পেয়ে বিক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য সহকারীরা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ক্যাশিয়ার সরকার মোঃ আরিফুল ইসলামকে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা পেশাগত দায়িত্ব পালন ও ছবি তুলতে গেলে তাদের সঙ্গেও দূর্ব্যবহার করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের দু’টি  মোবাইল ফোন ও একটি ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যাশিয়ার আরিফুলকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভতি করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি ক্যাশিয়ার আরিফুল বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় সদর উপজেলার শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী ও কর্মচারিদের বোনাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। সদর হাসপাতাল ও তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কেউই ঈদপূর্ব বোনাস পাননি। বিষয়টি না জেনে বা বুঝেই সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিন কতিপয় স্বাস্থ্য সহকারী ও কর্মচারি সকাল ১১টার দিকে অফিসে ঢুকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। এ সময় প্রতিবাদ করলে স্বাস্থ্য সহকারী শাহিন, সেলিম, আলমগীর, আব্দুস সালম ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সহকারীরা আমাকে মারপিট করে। তারা আমার মাথায় আঘাত করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে সহকর্মীরা ও পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়টি সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। 

সিরাজগঞ্জ জেলা রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শরিফ আহম্মেদ ইন্নাহ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে দু’জন গণমাধ্যমকর্মী লাঞ্ছিত হন। এমনকি তাদের মোবাইল ও ক্যামেরাও কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। 

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার মোঃ তসলিম বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। সদর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি শক্তভাবে দেখা হবে। 

সদর থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ক্যাশিয়ার ও দু’জন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেউই লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেয়নি।