ঢাকায় গৃহবধুর গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু

আদমদীঘিতে কবর থেকে ৭১ দিন পর লাশ উত্তোলন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ অগাস্ট ২০১৯ ১৫:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৪ বার।

ঢাকায় ভাড়া বাসায় আনিকা নওশিন নামের এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর ৭১ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সি.আই.ডি আদমদীঘির সান্তাহার নতুন বাজার এলাকায় কবর থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছেন। আনিকা নওশিন সান্তাহার নতুন বাজারের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে ও মেরিন প্রকৌশলি শাকিল আদনারের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় স্বজদের কান্নায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। 
জানাযায়, আনিকা নওশিন-এর সাথে আদমদীঘির সান্দিড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মেরিন প্রকৌশলি শাকিল আদনানের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই বোন ছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর তারা ঢাকাস্থ নিউ ইস্কাটন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের আরাফাত (৭) ও সাদাত (৪) বছরের দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি পারিবারিক ভাবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ মে রাতে ঢাকাস্থ বাসায় আনিকা নওশিনকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকার স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পর চকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরে আইনের আশ্রয় না নিয়েই সেখান থেকে তড়িঘড়ি করে আদমদীঘির সান্তাহার নতুন বাজার এলাকায় তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর নিহত আনিকা নওশিনের বড় বোন নাজমুন্নাহার বাদি হয়ে গত ৩১ জুন ঢাকার হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাকিল আদনানকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকায় সিআইডিতে স্থানান্তর করা হলে তদন্তকারি উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন মামলাটি সুষ্ট তদন্তের স্বার্থে ও আনিকা নওশিনের মৃত্যুর সঠিক কারন জানার জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আনিকা নওশিনের মরদেহ তার কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে (৬ আগষ্ট) বগুড়ার নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয় বলে মামলার তদন্তকারি ঢাকা হেড কোয়াটার সি.আই.ডি‘র উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন সাংবাদিকদের জানান।