বগুড়ায় কুরবানির পশুর হাটে দামে মিলছে না ক্রেতা-বিক্রেতার

দোস্ত আউয়াল ও আকতারুজ্জামান সোহাগ
প্রকাশ: ০৬ অগাস্ট ২০১৯ ১৫:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৯৭ বার।

বগুড়ায় এখনও জমে উঠেনি কুরবানির পশুর হাট। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উভয়ের উপস্থিতি থাকলেও দামে মিলছেনা তাদের। সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাবগ্রাম হাট ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্র। ওই উপজেলার নিশ্চিন্তপুত এলাকার গরু ব্যবসায়ী বলেন, ক্রেতার উপস্থিতি থাকলেও দামে পোষাচ্ছে না৷ চাওয়া দামের দুই ভাগ বাদ দিয়ে দাম করছে ক্রেতারা। 

 

ক্ষিদ্রধামা এলাকার অপর গরু ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, গরুর দাম ভালো পাচ্ছিনা। দুটা গরু আনছি দাম যা বলে পোষাবেনা। তবে হাটে বেশি ছিল মাঝাড়ি দামের গরু। বিক্রেতারা মাঝারি গরুগুলো দাম হাঁকছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি বড় গরু গুলো ৯০ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম বলছে বিক্রেতারা। তবে এবারের হাটে ছোট গরু প্রায় নেই বললেই চলে। এর পাশাপাশি হাটে ছিল গাই গরু।  তবে সেগুলোর ও বেশ দাম হাঁকছে বিক্রেতারা। গাই গরুগুলো ৪৫ থেকে ৭০ হাজার পর্যন্ত দাম বলছে তারা।

 

সাবগ্রামের জাহাঙ্গীর এগ্রো মালিক হুমায়ন কবির বলেন, আজ আমি তিনটি গরু এনেছি একটি পাঁচ লক্ষ ও অন্য দুটির দাম চার লক্ষ হলে বিক্রি করবো।গাবতলি থেকে গরু কিনতে আসা হারুনুর রশিদ জানান,দাম একটু চড়া। পশু কম উঠেছে ক্রেতাও বেশি। নারুলী থেকে আসা অপর ক্রেতা মাহাফুজ আলম জানান, দাম বেশিনা তবে বিক্রেতারা গরু ছাড়ছেনা।

 
গরুর হাটের ছাপ তোলা মেজবাউল হক জানান, আমরা গরুর ক্রেতা থেকে ৬০০ ও বিক্রেতার থেকে ১০০ টাকা করে ছাপ নিচ্ছি। এখনও বিক্রি জমেনি তবে আগামী হাঁটে জমে উঠবে। সাবগ্রামের গরুর পশুর হাটের পাশে বসেছে ছাগলের হাট।

 

ছাগলের হাঁটে পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাগল বিক্রি হয়েছে বলে জানান হাট কর্তৃপক্ষের অফিসে থাকা সাকিব হোসেন। তিনি আরও জানান ছাগলের প্রতি ১৫০০০ হাজার টাকায় ৪০০ টাকা ছাপ নেওয়া হচ্ছে।

 

গাবতলি থেকে আসা ছাগলের হাটের বিক্রেতা আব্দুল মজিদ জানান, যে দাম পাইছি আল্লাহ দিছে এতে হবে। ওই হাটের ছাগল কিনে ফেরার সময় সাবগ্রামের আনিসুর রহমান বলেন, বাজার ভালো আছে আমি সন্তুষ্ট। 

 

ছাগলের হাটে ছাগলের পাশাপাশি কিছু ভেড়া বিক্রেতাও ছিল। সেসব ভেড়ার ৬ থেকে ৯ হাজার পর্যন্ত দাম বলছেন তার। তবে সেখানে কোন ক্রেতার দেখা মেলেনি।

 

জাল টাকার নোট সনাক্তে আল-আরফা ও বেসিক ব্যাংক এর পক্ষ থেকে টাকা যাচাইয়ের জন্য বুথ বসানো হয়েছে। আল-আরফা ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন,কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। যদি জাল টাকা সনাক্ত হয় হাট কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

 

হাটে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা, আনসার কমান্ডার,জাকিরুল ইসলাম জানান ৮ জন সদস্য নিয়ে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।