ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়ে মিষ্টি বিতরণ!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অগাস্ট ২০১৯ ০৬:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৭ বার।

শাহেদ শরীফ খান ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এতে তার খুশি দেখে কে? খুশিতে অফিসে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এই মিষ্টি খেতে গিয়ে তার অফিসের  কর্মকর্তা মকবুল হোসেন কেমন কেমন যেন হয়ে যান। নাটকের গল্প এমনই। নাম ‘আসেন মিষ্টিমুখ করি’।

নাটকের গল্পে আরও দেখা যায় শাহেদ শরীফের বিলানো মিষ্টি খেতে গিয়ে বমি করে ফেলেন মবকুল। বাসায় ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেয় সে। 

স্ট্যাটাসের ভাষা এরকম, ‘এ কোন দেশে বাস করি আমরা? ধর্ষক হয়ে উঠেছে রক্ষক। চাঞ্চল্যকর সুফিয়া হত্যা মামলার মূল আসামী শাহেদ শরীফ ধর্ষণ ও হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অর্থের কাছে মানবতা পরাজিত হয়েছে। সব চেয়ে উদ্বেগ ও আতংকের বিষয় এই যে, ধর্ষণ ও হত্যা মামলা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাহেদ শরীফ তার অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে মিষ্টি খাইয়েছেন। মিষ্টি খেতে গিয়ে মনে হলো মিষ্টি নয় হতভাগী সুফিয়ার খণ্ডিত দেহের নানা অংশ চিবিয়ে খাচ্ছি। ওয়াক থু...’।

ফেসবুকে মকবুলের এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাক্রমে মকবুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ঝুমু স্কুল থেকে হারিয়ে যায়। এরপর মকবুলের জীবনে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।

এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেজানুর রহমানের লেখা ও পরিচালনায় নির্মিত হলো নাটকটি। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আহসান হাবীব নাসিম, মৌসুমী হামিদ, জিয়াউল হাসান কিসলু, রওনক বিশাকা শ্যামলী, মনি কাঞ্চন, মিন্টু সরদার, কাজী প্যারিস এবং শিশুশিল্পী মীম, সুবাহসহ বিভিন্ন নাট্যসংগঠনের শতাধিক নাট্যকর্মী।

নাটকটি ঈদে চ্যানেল আইতে  ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে নাটকটি প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা।