পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অগাস্ট ২০১৯ ০৭:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৬ বার।

জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ও ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা নিয়ে পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।  

বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরকে সংবিধানের মাধ্যমে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর বুধবারই ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত, নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্তে ভারত দুঃখ প্রকাশ করছে।

এতে বলা হয়, স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

দুই দেশের সম্পর্ককে একটা ভীতিকর অবস্থায় বিশ্বের কাছে উপস্থাপনের জন্য পাকিস্তান এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।

এর আগে বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সভায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওই  সিদ্ধান্ত হয়।

পাকিস্তান সরকারের এক টুইট বার্তায় বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করা হলো।

জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কোরেশি। তিনি বলেন, 'আমাদের রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে থাকবেন না। তাদের রাষ্ট্রদূতকেও ফেরত পাঠানো হবে।'

পাকিস্তান বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ব্যাপারটি 'এক তরফা ও অবৈধ'। এ অভিযোগেই ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিশরিয়াকে বহিষ্কার করে ইমরান খানের সরকার। 

সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়।

৩৭০ ধারার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বায়ত্তশাসিত ছিল জম্মু-কাশ্মীর। নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা ও স্বতন্ত্র আইন বানানোর অধিকার ছিল ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।

ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইমরান খান। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখন জাতিগত নিধন চালানো হবে।