হবিগঞ্জে ২ হাজার বস্তা সরকারি চাল জব্দ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:৪৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৬ বার।

হবিগঞ্জে পাচারকালে প্রায় ২ হাজার বস্তা সরকরি চাল জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার রাতে শহরের গরুর বাজার এলাকার একটি গোদাম থেকে এ সব চাল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়ে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মর্জিনা আক্তারকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কারণ এখন ভিজিএফ বিতরণের সময়। এ সময় অতিক্রম হলে দরিদ্র মানুষের মাঝে তা বিতরণ কষ্টকর হয়ে পড়বে।

জানা গেছে, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’- স্লোগান লেখা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এ চাল বিভিন্ন ইউনিয়নে হতোদরিদ্রদের মাঝে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়ে থাকে।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে হতোদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য ভিজিএফ-এর চাল সরকার থেকে বিশেষভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রত্যেকের মাঝে ১৫ কেজি করে বিতরণের কথা রয়েছে। আর ভিজিডি প্রত্যেকের মধ্যে ৩০ কেজি করে বিতরণের কথা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গরুর বাজার এলাকার সুরমা অটোরাইছ অ্যান্ড ফ্লাওয়ার মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মিলের গুদামে রাখা সরকারি ১ হাজার ৫০ বস্তা, একটি ট্রাকে ভর্তি ৮৬০ বস্তা এবং বিপুল পরিমাণ খোলা চাল জব্দ করা হয়। যা পাচারের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল সরকারি বস্তা থেকে চালগুলো খুলে অন্য বস্তায় ভরা হচ্ছিল।

তিনি জানান, খাদ্য অধিদফতরের সিল সংবলিত প্রতিটি বস্তাই ৩০ কেজি ওজনের। এগুলো দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের ভিজিডি এবং ভিজিএফের চাল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নয়নের বরাত দিয়ে ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, চালগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।

অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমানসহ সদর থানার পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।