রংপুরে চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গৃহবধূকে নির্যাতন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অগাস্ট ২০১৯ ০৭:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩০ বার।

দেবরের মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেয়ার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রংপুরে গঙ্গাচড়ায় মানিকা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের পর চুল কেটে ও গলায় জুতার মালা পরানোর অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের ছিটমহল গ্রামে এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড়মাস আগে মানিকা বেগমের দেবর আব্দুল মতিনের মেয়ে মৌসুমী বেগমের বিয়ে হয় রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার লিটন মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর লিটন তার স্ত্রীর চারিত্রিক কারণে গত ২১ জুলাই তাকে তালাক দেন।

এদিকে, তালাকের ঘটনায় মানিকা বেগমের ইন্ধন রয়েছে- এমন দাবি করে দুই পরিবারের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বুধবার বিকেলে আব্দুল মতিন, তার স্ত্রী, মেয়ে এবং তার ভাই আব্দুল মোতালেবসহ পরিবারের লোকজন এক হয়ে মানিকা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে।

এক পর্যায়ে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে দিনভর নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। বিকেলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মানিকা বেগমকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই গৃহবধূর স্বামী মোকলেছ মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই রাতে এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল মতিন ও আব্দুল মোতালেবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বেতগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপটন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পরস্পর ভাই-দেবর-ভাবি-ভাতিজি সম্পর্কের। তাই এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

গঙ্গাচড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুশান্ত কুমার সরকার জানান, এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।