বগুড়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টাকারী ছাত্রলীগের বখাটেদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৯ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩২৫ বার।

বগুড়ার গাবতলীতে কলেজ ছাত্রীকে উত্তাক্তকারী ও ছাত্রীর বাবা আ’লীগ নেতার উপর হামলাকারী ছাত্রলীগের বখাটেদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার মানববন্ধন করা হয়। মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীর বাবা আ’লীগ নেতা ফুলমিয়াকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ্ই মানববন্ধন কর্মসুচী চলাকালে এক প্রতিবাদসভা সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা, দুলাল করিম দুলাল, জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন টুকু, সাব্বির হাসান জাফরু পাইকার, মন্টু মিয়া, ডাঃ শাহাদৎ হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আঃ রহমান বাবলু, নান্নু মিয়া,জেলা ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আল হাসান জুয়েল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদ মমিনুল হক মুক্তার, ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি আবু হায়াত সুইট, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী, ইউপি মেম্বার শাহাদৎ হোসেন গামা, শফিকুল ইসলাম পাশা, আলেক উদ্দিন কালু, শ্যামল, এলাকাবাসির মধ্যে জাহিদুল মেম্বার, ডাঃ ফটু বাবলা, ফজর আলী, রবিউল প্রমূখ। বক্তগণ বখাটে তরিকুল ইসলাম তরিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান। উল্লেখ্য, জেলার গাবতলী উপজেলার খুপি গ্রামের ইট ভাটা ব্যবসায়ী ও সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফুলমিয়ার মেয়ে স্থানীয় কলেজে পড়ে। তাকে একই গ্রামের বাসিন্দা ও সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি (বর্তমানে বহিস্কৃত) বখাটে তরিকুল ইসলাম তরি প্রেমের প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী তার বাবা ফুলমিয়াকে জানায়। পরে ঘটনাটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এবং বখাটে তরিকুল ইসলাম তরিকেও শাষন করা হয়। যে কারনে তরি ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা করে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে ২আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে জামিরবাড়িয়া হাটের মধ্যে ফুলমিয়াকে একা পেয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে এলোপাতারী চাকু ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘটনার পরের দিন ফুলমিয়ার ছেলে আমির হোসেন বাদী হয়ে বখাটে তরিকুল ইসলাম তরিকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।