'রাজা-বাদশা' বিক্রি হলে ধুমধামে বিয়ে হবে মেয়ে সুমাইয়ার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:৪৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৫ বার।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাসিন্দা মো. গফুর আলী। পঞ্চাশোর্ধ গফুর আলীর চোখে মুখে আশার ঝিলিক। এই আশা তার লালনপালন করা বিশালাকৃতির দুটি গরু নিয়ে। গরু দুটি বিক্রির টাকায় ঈদের পর মহা ধুমধাম করে বড় মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে দেবেন। মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে, এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। গফুর আলী কিছুটা চিন্তিতও বটে, ভালো দাম পাবেন তো! অবশ্য গরু দুটি ইতিমধ্যেই হাটের সবার নজর কেড়েছে। খবর সমকাল অনলাইন।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল এলাকার টাইগার রি-রোলিং মিল মাঠের অস্থায়ী পশুর হাটে তোলা হয়েছে গফুর আলীর গরু দুটি। কম হলেও ৩০ মণ করে দুটির ওজন। শখ করে গরু দুটির নাম রেখেছেন রাজা ও বাদশা। খয়েরী রঙেরটির নাম রাজা ও লাল রঙেরটা বাদশা। রাজা-বাদশার দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা করে। বৃহস্পতিবার সকালে গরু দুটি হাটে নিয়ে এসেছেন তিনি।

গরুর মালিক গফুর আলী বলেন, সন্তানের মতো আদর আর যত্ম দিয়ে দুই বছর ধরে গরু দুটি লালনপালন করেছি। দুইটার ওজনই ৩০ মণ করে। তাই ১২ লাখ টাকা করে দাম চাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ক্রেতারা ৭ লাখ টাকা করে দাম বলেছেন। তবে ১০ লাখ হলে বিক্রি করে দেবেন তিনি।

গফুর আলী জানান, স্ত্রী চার মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তার সংসার। বড় মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে নওগাঁয়। ঈদের পর ঘটা করে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন। রাজা-বাদশা বিক্রি করে ভালো দাম পেলে আর কোনো চিন্তা থাকবে না।

এদিকে 'রাজা-বাদশা'কে দেখতে টাইগার রি-রোলিং মিল হাটে ভিড় করছেন অনেক মানুষ। না কিনলেও অনেকে ভিড় করছেন এতো বড় গরু একনজর দেখতে। তাদের বেশ কয়েকজনকে গরুর সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। তারা বলছেন, গরু দুটি অনেকটা হাতির মতো বিশাল। 'স্মৃতি' হিসেবে রাখার জন্য ছবি তুলছি। কারণ, কোরবানির হাট ছাড়া এত বড় গরু সচরাচর চোখে পড়ে না।

হাটের ইজারাদার মো. শফি বলেন, শাহজাদপুর থেকে আসা গরুর বেপারী গফুর আলীর আনা দু'টি বিশাল গরু হাটের শ্রী বাড়িয়েছে। ক্রেতাদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে গরু দুটি। আশা করি তিনি ভাল দাম পাবেন।