পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব ফেলবে বলিউডে?

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অগাস্ট ২০১৯ ০৫:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৪ বার।

ভারতীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের প্রতিক্রিয়া পড়েছে আঞ্চলিক রাজনীতিতে। এই ঘোষণা আসার কয়েক দিনের মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, তার দেশের হলে ভারতীয় কোনো সিনেমা চলবে না।

প্রশ্ন উঠেছে এই নিষেধাজ্ঞায় কতটা ক্ষতির মুখে পড়বে বলিউড? কারণ পাকিস্তানে বরাবরই ভারতীয় সিনেমা ব্যবসা করে আসছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কইমই ডটকম শীর্ষ আয়ের পাঁচটি ছবি বিশ্লেষণ করে সেই চিত্র তুলে ধরেছে।

সঞ্জু: রণবীর কাপুর অভিনীত সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকটি পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা বলিউড সিনেমা। প্রতিবেশী দেশে আয় করে সাড়ে ৩৭ কোটি রুপি। ভারতে প্রথম দিনে আয় করে ৩৪.৭৫ কোটি রুপি। আর মোট আয় ৩৪১.২২ কোটি রুপি, অর্থাৎ পাকিস্তানের আয় এর প্রায় ১১ শতাংশ।

সুলতান: সালমানের বড়সড় ভক্ত শ্রেণি রয়েছে পাকিস্তানে। এই সিনেমাটি পাকিস্তানে আয় করে ৩৭ কোটি রুপি। অন্যদিকে ভারতে মোট আয় ৩০০.৪৫ কোটি। অর্থাৎ, ১২.৩১ শতাংশ।

ধুম থ্রি: আমির খানের অ্যাকশন থ্রিলারটি পাকিস্তানে আয় করে ২৫ কোটি রুপি। যার ভারতীয় আয় সোয়া ২৮০ কোটি রুপি। অর্থাৎ, পাকিস্তানের আয় এর প্রায় ৯ ভাগ।

পিকে: আমির খানের স্যাটায়ারধর্মী সিনেমাটির আয় ২২ কোটি রুপি। ভারতে মোট আয় সাড়ে ৩৩৯ কোটি রুপি। অর্থাৎ, পাকিস্তানের আয় এর সাড়ে ৬ ভাগের মতো।

বাজরঙ্গি ভাইজান: সালমানের ড্রামা ধাঁচের সিনেমাটি পাকিস্তানে আয় করে ২৩ কোটি রুপি। ভারতে মোট আয় ছিল ৩২০.৩৪ কোটি। অর্থাৎ, প্রতিবেশী দেশে আয় ৭ শতাংশ।

এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানে বলিউড সিনেমা নিষিদ্ধ হওয়ায় আর্থিকভাবে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের ওপেনিং আয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের মোট আয়ের সমান।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের রাজনীতির আঁচ বারবার উত্তপ্ত করেছে বলিউডকে। বেশ কয়েক দফায় সেখানে নিষিদ্ধ করা হয় পাকিস্তানি তারকাদের। এ কারণে বর্তমানে বলিউড প্রায় পাকিস্তানি তারকাশূন্য।