সভাপতি নির্বাচনের বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৭ বার।

লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের দায় স্বীকার করে প্রায় মাস দুয়েক আগে দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর থেকেই কংগ্রেস প্রধানের পদটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

শূন্য ওই পদের দায়িত্ব কে নেবেন, তা নিয়ে এতদিন ধরে জোর জল্পনা চলছে দলের ভিতরে-বাইরে। এ বার সেই জল্পনার অবসান হতে চলেছে।শনিবারই দলের নতুন সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাইছে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি। এরই মধ্যে বৈঠকে বসেছেন তারা।

সোনিয়া-রাহুলের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ১১টায় শুরু হয়েছে ওই বৈঠক। রাজনৈতিক মহলের জল্পনায় উঠে আসছে একাধিক নাম। তার মধ্যে মল্লিকার্জুন খড়েগ এবং মুকুল ওয়াসনিকের নাম বেশি আলোচনায় এসেছে। অন্যদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহও, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলটের নামও উঠে এসেছে আলোচনায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আরও পরামর্শ করেই নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিট এবং আইনসভা দলের নেতাদের নতুন দলের সভাপতি নিয়োগের পরামর্শের জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

এ বৈঠকে যোগ দিতে গোটা দেশ থেকে প্রায় ৪০০ কংগ্রেস নেতা এসেছেন। বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিদের পাঁচটি সাব কমিটিতে ভেঙে নেওয়া হয়েছে তাদের নেতৃত্বদানের অঞ্চলের ভিত্তিতে। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব— এই পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছেন উপস্থিত সদস্যরা।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শনিবার রাত আটটায় পাঁচটি সাব কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে কার্যকরী কমিটিকে। তার পরে ঘোষণা হতে পারে নতুন সভাপতির নাম। 

১৩৪ বছরের ইতিহাসে, ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ নেহেরু-গান্ধী পরিবারেরই সদস্য ছিলেন। বর্তমানে গান্ধী পরিবারের যে ৩ সদস্য সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে অস্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় নিয়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল গান্ধী। ওই সময় দলের পক্ষ থেকে বারবার তাকে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য অনুরোধ করলেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন রাহুল।