৬২ হাজার ৯৬০ বাড়ির লার্ভা ধ্বংস করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:২৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৩ বার।

অভিযান চালিয়ে ৬২ হাজার ৯৬০ বাসায় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ১ জুলাই হতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬২ বাসা পরিদর্শন করেছে সংস্থাটি।

শনিবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ‘পৌরকরদাতাদের মাঝে অ্যারোসল স্প্রে বিতরণ’ অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ তথ্য দেন। খবর দেশ রুপান্তর।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ ও সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করতে পেরে ১ জুলাই থেকে বাসায় বাসায় পরিদর্শনে টিম পাঠাই। এরপর স্কাউটের সহায়তা নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ডিএসসিসির টিম ২৫ হাজার ৯৯৭ বাসা পরিদর্শন করে ৮২৩টি বাসায় লার্ভা পায়, সেখানে তারা ধ্বংস করে দিয়ে আসে। এ ছাড়া স্কাউটের সহায়তায় মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৭৬৫ বাসা পরিদর্শন করা হয়। সেখানে ৬২ হাজার ২৩৭ বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং তা ধ্বংস করে পরিষ্কার করা হয়।’

মেয়র বলেন, ‘আমরা কর্মপদ্ধতি ঠিক করেছি এডিস মশা উৎসস্থলেই নির্মূল করতে হবে। আমরা রিহ্যাবের সহযোগিতা চেয়েছিলাম নির্মাণাধীন ভবন পরিষ্কার রাখার জন্য। সেভাবে সহায়তা না পেয়ে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। সেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫৯০ বাসায় জরিমানা করা হয়েছে। আমরা যেভাবে কাজ করছি, আল্লাহর রহমতে সেপ্টম্বরের প্রথম সপ্তহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘নগরবাসী আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। জনসচেতনতা গণজাগরণে পরিণত হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। নগরবাসী ফলাফল দেখতে পাবেন। আমাদের নতুন ওষুধ স্প্রে শুরু হয়েছে। এরপর যদি দেখেন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসছে তাহলে বুঝবেন আমরা সঠিক পথে আছি। আর যদি না কমে তাহলে আমরা অন্য পন্থা অবলম্বন করব। তবে আশা করি কমে আসবে। আর এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সারা বছরই অব্যহত থাকবে।’

নগরবাসীকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের জন্য ব্লিচিং পাউডার, পলিব্যাগ সরবরাহ করা হচ্ছে। সবাই নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করে বর্জ্য সিটি করপোরেশনের কন্টেনারে রেখে যান, আমরা পরিষ্কার করে দেব।’