৬ দিনে একটি বুলেটও ছোড়েনি পুলিশ: কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অগাস্ট ২০১৯ ১০:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৪ বার।

পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল জম্মু-কাশ্মীরে একটি বুলেটও ছোড়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সেখানকার পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংহ।

তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। গত ছ’দিনে কোথাও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। একটি বুলেটও ছোড়া হয়নি।’ 

শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এমনটাই জানান। বিবৃতিতে সাধারণ মানুষকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘ভুয়া’ খবরে বিশ্বাস না করার আবেদনও জানান তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

তিনি বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একটি ছোটখাট পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল। তা বড় আকার নেওয়ার আগেই সামাল দেওয়া হয়েছে।

সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ ও তাতে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে পুলিশের গুলিচালনার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন আইজি এসপি পানি। এদিন তিনি বলেন, ‘কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম উপত্যকায় গুলির খবর দেখাচ্ছে। কিন্তু, তা সম্পূর্ণ ভুয়া। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। গত এক সপ্তাহ ধরেই উপত্যকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে।’

শনিবারই সংবাদমাধ্যমে রাজ্যের কোনো কোনো প্রান্তে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর প্রকাশিত হয়। জানা যায়, সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে শৌরা এলাকায়। কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়। পুলিশের গুলি চালানোর আওয়াজও শোনা গিয়েছিল ওই ভিডিওতে। 

তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিক্ষোভের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা মনগড়া।

শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যসচিব ও ডিজিপির টুইটে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ মানুষ যেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভুয়া খবরের ফাঁদে পা না দেন। গত ছয়দিনে কাশ্মীরে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি। গত ছয়দিনে একটি বুলেটও ছোড়েনি পুলিশ।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। সাধারণ মানুষও সহযোগিতা করছেন। পরিস্থিতি বুঝে বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে। শ্রীনগরসহ অন্যান্য শহরে যান চলাচল করছে।’

সোমবার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে কাশ্মিরকে যে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল সেটি বাতিলের ঘোষণা দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে লাদাখকে আলাদা করার ঘোষণাও দেন তিনি।

গত সপ্তাহ থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই ঘোষণার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে। 

সোমবার রাতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিল পাসের পর জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহেবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। উপত্যকার বেশ কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

 

উপত্যকার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। শহর ও গ্রামগুলোর আশপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেখা গেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুরো অঞ্চলে টিভি চ্যানেল, ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।