সেমাই-পায়েসে কারাবন্দিদের ঈদ শুরু, রাতের মেন্যুতে কোরবানির মাংস

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০১৯ ০৪:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৯ বার।

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। সারাবিশ্বে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা ঈদের দিনটি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেন। কারাবন্দিদের জন্য এ দিনটি অন্যদিনের মতোই। তবে এ বন্দিজীবনে তাদের আনন্দ দিতে প্রতিবছরই নানা আয়োজন করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কারা সূত্র জানায়, বন্দিদের ঘরের অনুভূতি দেয়ার জন্য সোমবার সকাল ৭টায় তাদের স্ব স্ব সেলে মুড়ি, পায়েস আর সেমাই পাঠানো হয়। এরপর সকাল ৮টায় কারাগারের ভেতরের ময়দানে ঈদুল আজহার একমাত্র জামাতে অংশ নেন কারাবন্দিরা।

কারাগার মসজিদের নিয়মিত ইমাম ঈদ জামাতের ইমামতি করেন। জামাতের পরপরই তারা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন।

বন্দিদের জন্য দুপুরের মেন্যুতে রয়েছে সাদা ভাত, রুই মাছ আর আলুর দম।

central-gail-2.jpg

এবার সাড়ে ১১ হাজার কারাবন্দির জন্য ৩ হাজার ৩০০ কেজি কোরবানির গরুর মাংসের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। রাতের বিশেষ আয়োজনে তারা পাবেন পোলাও, কোরবানির গরুর মাংস (যারা গরুর মাংস খান না তাদের জন্য খাসির মাংস) ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি। রাতের খাবারের পর তাদের জন্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথাও রয়েছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার জেলার মাহাবুবুল ইসলাম মিলন জানান, ঈদে কারাবন্দিদের জন্য ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৩০০ কেজি মাংসের চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ অনুযায়ী যে কয়টি গরু প্রয়োজন সেটি কোরবানি দিয়েছে। দুপুরের পর থেকে মাংস আসা শুরু হবে। রাত ৯টা থেকে এসব মাংস দিয়ে কারাবন্দিদের খাবার সরবরাহ শুরু হবে।

কারা সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের আনা খাবার খেতে পারবেন।