বগুড়ায় শাওন নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার

দোস্ত আউয়াল
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০১৯ ১০:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৬৫ বার।

বগুড়ায় সাব্বির রহমান শাওন (১৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শাওন শহরের ঠনঠনিয়া সুফি পাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। রোববার দিবাগত রাতে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে শাজাহানপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান ( শজিমেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য হস্তান্তর করে। শাওন এই বছর সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে।
 
নিহতের পরিবারের সদস্যরা ওই ঘটনাটিকে হত্যাকান্ড দাবি করে জানান, শাওন বিকেলে পায়ের জুতা কেনার কথা বলে বেরিয়ে যায়। এরপর অনেক রাত হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় তার বাবা তাকে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও ফোন বন্ধ দেখায়। শাওনের বন্ধু ও প্রতিবেশী  মিঠুকে ফোন করা হলে শাওন তার সাথে আছে বলে নিশ্চিত করে এবং শাওনের সাথে কথাও বলিয়ে দেয়। তখন শাওন তার পরিবারকে জানায় তিনি ১০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি যাচ্ছেন। কিন্তু রাত ১টা পেড়িয়ে শাওন বাড়িতে না আসলে মিঠুকে আবারও মোবাইল করা হয়। তখন  শাওনকে শহরের আলতাফ আলী মার্কেটে রেখে এসেছে বলে জানায় মিঠু। এরপর রাত আরও বাড়লে নিহতের মা তার ছোট ছেলে ও মিঠুকে সাথে নিয়ে সম্ভাব্য প্রায় সবখানে খোঁজ করতে থাকেন। কোন পথ না পেইয়ে তারা সদর থানাতে খোঁজ করে । থানার পুলিশ ওই নামের কেউ আটক নেই বলে নিশ্চিত করে প্রয়োজনে জিডি করার পরামর্শ দেন। সারারাত শাওনের পরিবার তাকে খোঁজা খুঁজির পরে ভোরে শজিমেক হাসপাতালে সন্ধান করে তার মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

এই বিষয়ে নিহতের মা সেলিনা আক্তার প্রলাপ করতে কর‍তে বলেন, 'আমার ছেলের অতদূর যাওয়ার কোন প্রয়োজন ছিলনা। আমার ছেলেকে মেরে লাশ ফেলে দিয়ে গেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই৷'

নিহতের ছোট ভাই সাকিবুর রহমান বলেন, 'আমার ভাইকে কেউ মেরে ফেলেছে। তার চেহারা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। আমি আমার ভাইকে চিনতে পারছিলাম না, তার পায়ের স্যান্ডেল দেখে প্রথমবার নিশ্চিত হয়েছিলাম ওই শাওন আমার ভাই। আমার ভাইকে যারা মেরেছে ওদের একইভাবে আমি শাস্তি চাই।'

পরিবার থেকে মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা মামলা করবোই। সব প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করেছি।'


নিহতের এলাকার প্রতিবেশী চাচা আল-আমিন জানান,  আমরা কয়জন রাস্তার পাশে বসে থাকার সময় রাত ১২ টার দিকে শাওনকে মিঠুর মটরসাইকেলে মিঠু ও মুন্নার সাথে দেখেছিলাম। এরপর সকালে শুনি এই ঘটনা।


শাওনকে মহাসড়কে মৃত অবস্থায় পাওয়া শাহাজানপুর পুলিশের এস,আই সুশান্ত কুমার পাল জানান, একজন সিএনজি চালক আমাদের জানান সড়কে কোন মানুষ পরে আছে। তাৎক্ষণিক আমরা সেখানে যেয়ে শাওনকে মৃত অবস্থায় পাই। সেখান থেকে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক মেডিকেলে নিয়ে আসি। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম ঈদে ঘরমুখি কেউ দূর্ঘটনায় মারা গেছে। তবে আমরা পরে তার পরিবারের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয় ।

বগুড়া সদর থানার ওসি এস,এম,বদিউজ্জামান পুণ্ড্রকথাকে বলেন, 'শাওনের ঘাটনা আমরা জেনেছি। ইতিমধ্যে তার মৃত্যুর রহস্য বের করতে কাজ চলছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট শেষে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারবে এটি হত্যা নাকি দূর্ঘটনা৷'