খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ঈদের দিন বিএনপির বিক্ষোভ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৭ বার।

কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।

সোমবার দুপুর ১ টায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মিছিলে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, পল্টন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম পাটোয়ারী, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, ছাত্রদল ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মিছিল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার ভয়াবহ অসুস্থতার পরও এই মিডনাইটের সরকার তার প্রতি আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে। দেশের কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বরং প্রতিনিয়ত তার জামিনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঈদুল আযহার দিনেও দেশনেত্রীর মনে আনন্দ নেই। কারণ জনগণের প্রিয় নেত্রীকে অন্যায় ও অবিচারমূলকভাবে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে।

‌‌‌ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে তিলে তিলে নি:শেষ করতে পারলেই সরকারের লক্ষ্যপূরণ নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।

‌‌`কিন্তু দেশের জনগণসহ জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করতে প্রবল সাহস ও উদ্যম নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে। আমি এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।'

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, এই অবৈধ সরকার দেশের জনগণকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। জোর করে ক্ষমতাসীন হয়ে বর্তমান সরকারপ্রধান দেশকে নিজের জমিদারি বানিয়ে ফেলেছেন। সেজন্য জনস্বার্থের দিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।

রিজভী বলেন, ডেঙ্গু সমস্যা যখন প্রকট আকার ধারণ করেছে তখন এটিকে আমলে না নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-নেতারাসহ সিটি মেয়ররা নির্বিকার থেকেছেন, তামাশা করেছেন। তাদের কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। এই কারণে ডেঙ্গু এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে।