কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি পাকিস্তানের!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০১৯ ১৫:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫০ বার।

মোদী সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের ভিতর ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাকিস্তানি বিমান বাহিনী লাদাখের কাছে অবস্থিত ঘাঁটিতে যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা খর্ব করার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যেন আরও খারাপ হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যেই চলছে চাপা উত্তেজনা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাকিস্তানি সেনারা তাদের লাদাখের কাছে অবস্থিত ঘাঁটিতে যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে।

সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তিনটি C-130 ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট শনিবার স্কার্দু এয়ারবেসে যুদ্ধের সরঞ্জাম ও অস্ত্র নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। এটি অবস্থিত লাদাখের খুবই কাছে। সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের পদক্ষেপ নিয়েও কড়া নজর রাখছে ভারতীয় এজেন্সিগুলি।

বহু বছর আগে আমেরিকার কাছ থেকেই C-130 ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট কিনেছিল পাকিস্তান। সূত্রের খবর, এই সরঞ্জামগুলি এয়ারক্রাফ্ট অপারেশনের কাজে ব্যবহার করা হবে।

ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার বিভিন্ন অপারেশন চালানোর জন্য সীমান্ত এলাকার এয়ারবেস স্কার্দুকেই ব্যবহার করে ইসলামাবাদ।

গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় মিডিয়ার খবর, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্ত লাগোয়া পাক সেনাঘাঁটিগুলিতে সক্রিয়তা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। গত শনিবার থেকেই স্কারদু বিমানঘাঁটিতে একাধিকবার অবতরণ করেছে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সি-১৩০ পণ্য পরিবহণকারী বিমান।

খবরে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে ‘ফরওয়ার্ড বেস’গুলিতে যুদ্ধের জন্য রসদ মজুত করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ভারতীয় গোয়েন্দারা আরো মনে করছেন, ওই ঘাঁটিগুলো থেকে বড়সড় বিমান হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পাক বিমান বাহিনী। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, পাকিস্তান সেনার গতিবিধি বাড়লেও চিন্তার কিছু নেই। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সমস্ত গতিবিধি ভারতীয় রাডারে স্পষ্ট ধরা পড়ছে। ফলে কোনো কিছু করলে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেয়া হবে।

ভারতীয় মিডিয়ার খবরে আরো বলা হয়, ঈদ ও স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফে। এর মধ্যে শনিবার রাত থেকে কাশ্মীর সীমান্তে ইমরান সরকার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-সহ প্রচুর সেনা সদস্য সদস্য পাঠাচ্ছে বলে জানা গেল। রোববার টুইট করে মারাত্মক এই দাবি করলেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক হামিদ মীর।

তার দাবি, ‘‘কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান সরকার সেনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে খবর দিয়েছেন তাঁর কাশ্মীরি বন্ধুরা। গতকাল রাত থেকেই প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও কামান নিয়ে পাকিস্তানের সেনাকর্মীরা কাশ্মীর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে। আর তাদের দেখে পাকিস্তানের পতাকা নাড়িয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে স্থানীয় কাশ্মীরি। মুখে স্লোগান দিচ্ছে – কাশ্মীর বন গ্যায়া পাকিস্তান।’’ এই টুইটের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। বাড়ানো হয়েছে সেনা জওয়ানদের সংখ্যাও।