অবশেষে ঢাকা থেকে টিম গিয়ে কবজায় নিল মহিষটি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

ঘাটাইলে কোরবানির জন্য প্রস্তুতের সময় লাফিয়ে ওঠা ক্ষিপ্ত সেই মহিষটিকে অবশেষে ২৫ ঘণ্টা পর কবজায় আনা সম্ভব হয়েছে। অবশ্য এর আগে ক্ষিপ্ত মহিষের গুঁতোয় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভূঞাপুর উপজেলার আলেয়া ইউনিয়নের নিকলা বিলে অবস্থানরত এই মহিষটিকে ইনজেকশন দিয়ে নিস্তেজ করে ঢাকা থেকে আসা প্রাণিসম্পদ বিভাগের একটি টিম। পরে সেটিকে উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মহিষটিকে দেখতে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করেন। সোমবার দিন রাত চেষ্টা করেও মহিষটিকে উদ্ধার করা যায়নি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার এসআই শামছুল ইসলাম বলেন, মহিষটিকে উদ্ধারের জন্য ঢাকা থেকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন।  তারা নৌকা যোগে নিকলা বিলে পৌঁছে সেখানে অবস্থানরত মহিষটিকে ইনজেকশন শুট  করেন। এরপর ধীরে ধীরে মহিষটি দুর্বল হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসন, ভূঞাপুর থানা-পুলিশ ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সেটিকে উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

উল্লেখ্য যে, ঈদ উপলক্ষে  ঘাটাইলের যু‌গিহা‌টি গ্রামের আরিফুল সরকারের বাড়িতে একটি মহিষ কয়েকজন মিলে কোরবানি দেওয়ার জন্য কিনেছিলেন।  সোমবার কোরবানি দেওয়ার সময় হঠাৎ মহিষটি লাফিয়ে উঠে। পরে সেখানে থাকা বেশ কয়েক জনকে আহত করে ম‌হিষ‌টি ভূঞাপুর উপজেলার কাগমা‌রি পাড়ায় চরে চ‌লে যায়।  পরে ওই মহিষটিকে নিবৃত্ত করতে সন্ধ্যার দিকে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। মহিষটি সরে গেলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ততক্ষণে মহিষটি দেখতে আশপাশের হাজারো উৎসুক মানুষ চলে আসে। উৎসুক জনতাকে সরতে বারবার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলেও কেউ সরেনি। নিরাপত্তার স্বার্থে পুনরায় গুলি করা সম্ভব হয়নি। পরে মহিষটি রাতেই কাগমারি থেকে অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা বিলে চলে যায়।