কাশ্মীরের কারফিউ তোলার আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অগাস্ট ২০১৯ ১৩:২৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৬ বার।

জম্মু-কাশ্মীরে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলো না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই ইস্যুতে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করতেও রাজি নয় আদালত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, কাশ্মীরে অবিলম্বে কারফিউ তুলে নিতে, মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট চালু করতে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা।

সোমবার আবেদনটির শুনানি শুরু হলে এ নিয়ে কোনো ধরনের রায় দিতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। তাড়াহুড়ো করে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে রাজি নয় বিচারক বেঞ্চ।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না আদালত। তবে দু’সপ্তাহ পর ফের আবেদনটির শুনানি হবে বলে জানা গেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হয়।

বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আমরাও চাই কাশ্মীরের পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাক। কিন্তু রাতারাতি কিছু হওয়া সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে ওখানে কী হচ্ছে কেউ তা জানে না। তাই সরকারের ওপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।’’

আদালত আরও জানায়, ‘‘এই মুহূর্তে পরিস্থিতিটা বোঝা উচিত। সরকারকে সময় দিতেই হবে। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। তার পরেও ছবিটা যদি কিছু না বদলায়, তখন ফের আদালতে আসতে পারেন আবেদনকারী।’’

গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে অঞ্চলটি কার্যত পুরোপুরি দখলে নিয়ে নিল ভারত।

ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর সামরিক পরিস্থিতি জারি করা হয়েছে সেখানে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত নয়দিন ধরে পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে অঞ্চলটিকে। সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহসহ ৪০০ স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত সরকার।

এ দিকে রাজ্যসভার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসছে অঞ্চলটির জনগণ। কারফিউ ভেঙে এরই মধ্যে রাস্তায় নামা শুরু করেছে মানুষ। সরকারি এমন সিদ্ধান্তের পরদিন থেকে শ্রীনগরের বেশ কিছু জায়গা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার ঈদের দিন বন্ধ রাখা হয় অধিকাংশ মসজিদ। ছোট ছোট কয়েকটি মসজিদ ছাড়াও কোথাও ঈদের জামাতের অনুমতি মেলেনি। হয়নি কোরবানি পশু বেচাকেনা। কোরবানি দিতে না পেরে আরও বেশি ক্ষুব্ধ কাশ্মীরিরা। ফলে ঈদের দিনেও রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ওপরে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায় বলেও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করে।