বগুড়ায় দু’টি বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩

শাজাহানপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অগাস্ট ২০১৯ ১১:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৬ বার।

বগুড়ায় দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ ৩ ব্যক্তি নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুুপুর দেড়টার দিকে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়াবাজার এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অন্য দু’জন হলেন- রংপুর জেলা সদরের আব্দুল্লাহেল কাফির ছেলে গার্মেন্ট কর্মী খায়রুল আলম যাদু (৫৮) ও তার স্ত্রী রানু বেগম (৫০)।
দূর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘন্টা ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং দুর্ঘটনা কবলিত বাস দু’টি মহাসড়ক থেকে সরানোর পর দুপুর আড়াইটার দিকে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আড়িয়াবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পূর্ব ধারে একটি মিনিবাস এবং পশ্চিম পাশে একটি হিউম্যান হলার যাত্রী তুলছিল। এতে মহাসড়কের জায়গা কমে যায় অর্থাৎ এক সঙ্গে দু’টি বাস চলাচলেরও মত জায়গা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় ঢাকা থেকে বগুড়াগামী শ্যামলী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৩৪৫) বাস সেখানে পৌঁছায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিপরত দিক অর্থাৎ দিনাজপুরের হিলি থেকে ঢাগাকামী আহাদ পরিবনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-০৪০৭) সেখানে এসে পড়ে। এক পর্যাযে দ্রুতগামী দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি প্রায় ১০০ গজ দূরে ছিটকে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। শ্যামলী পরিবহনের বাসটি কেটে সেখানে আটকে পড়া বেশ কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি  আজিম উদ্দিন জানান, দূর্ঘটনা কবলিত দু’টি বাস আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের ওপর দু’টি বাস পড়ে থাকায় মহাসড়কে কিছু সময় যানজাট ছিল। তবে পড়ে সেটি ক্লিযার করা হয়েছে।’