সিলেটে ময়লার ভাগাড়ে ২০ ট্রাক পশুর চামড়া

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অগাস্ট ২০১৯ ১৬:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৫ বার।

সিলেটে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফেলে দেওয়া ২০ ট্রাক পশুর চামড়া ময়লার ভাগাড়ে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

কোরবানিদাতা ও বিভিন্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এসব চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন। এতে নগরীতে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে সিলেট সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তা সংগ্রহ করেন। সবশেষে আবর্জনাবাহী ট্রাকে তুলে তা নগরীর উপকণ্ঠ পারাইরচকের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে পুঁতে ফেলা হয়।

অন্তত ১০ টন কাঁচা চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে। এদিকে ক্রেতা না পেয়ে অনেকে নদীতে চামড়া ফেলে দেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, নগরী থেকে প্রায় ২০ ট্রাক চামড়া ডাম্পিং করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে এসব চামড়া ফেলে রাখা ছিল। খবর সমকাল অনলাইন।

সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ভালো দাম না পাওয়ায় মানুষ চামড়া রাস্তায় ফেলে রাখলে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। ফলে পরিত্যক্ত চামড়া অপসারণ করে পারাইরচকে ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে। এসব চামড়া প্রায় ১০ টন হবে বলে জানান তিনি।

প্রতি বছরের মতো এবারেও নগরী ও আশপাশ এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা। কিন্তু দিন শেষে সংগৃহীত চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে তারা ৭০-৮০ টাকার বেশি দাম পাননি। এমনকি অনেক ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া কিনতেও রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রাস্তায় চামড়া ফেলে প্রতিবাদ করে।

স্থানীয় কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ জানান, সংগৃহীত ৮ শতাধিক চামড়া সোমবার রাতে রাস্তায় ফেলে দেয় নগরীর খাসদবির দারুস সালাম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নগরীর ক্বিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীতে কাঁচা চামড়া ফেলায় পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একইভাবে বালাগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীতে চার শতাধিক চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাঁচটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা।

সিলেট নগরীতে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে অনেকে ২৫-৩০ টাকা দাম পেয়েছেন। অতীতে চামড়া ব্যবসায়ীদের লোকজন সরাসরি বাসাবাড়িতে এসে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করলেও এবার তা দেখা যায়নি। ঢাকার ট্যানারি মালিকরা আগের টাকা না দেওয়ায় ক্ষতির কথা বলে চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতিটি গরুর চামড়া ২৫-৩০ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি।

নগরীর আম্বরখানার আব্দুল লতিফ জানান, দেড় লাখ টাকার দুটি গরুর চামড়া ৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

অন্যান্য বছরের মতো এবারেও নগরীর রেজিস্টারি মাঠে চামড়ার সবচেয়ে বড় অস্থায়ী বাজার বসেছিল। এখানে প্রতিটি গরুর চামড়া ২৫ থেকে ২শ' টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ছাগলের চামড়া কোথাও ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।